ভোক্তার অভিযোগ নিষ্পত্তি হবে ‘ডিজিটাল' পদ্ধতিতে
১৫ মার্চ ২০২৩‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বুধবার ভোক্তা অধিকার দিবসে এ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হবে৷ এ বছর দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হবে৷
‘কনজ্যুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' এর মাধ্যমে ভোক্তার অভিযোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে নিষ্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে৷ ফলে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি ছাড়া অন্যান্য প্রক্রিয়ায় ভোক্তার সশরীরে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হবে না৷
পাশাপাশি ভোক্তার অভিযোগের বিপরীতে জরিমানা করা অর্থের ২৫ শতাংশ প্রণোদনা নগদের পরিবর্তে ডিজিটাল বা ই-পেমেন্টে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ৷
এতোদিন শুধু ঢাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চলা ‘সিসিএমএস' ব্যবস্থা ১৫ মার্চ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পথচলা শুরু করবে৷ এতে সফলতা দেখা গেলে পুরো দেশে তা কার্যকর করা হবে বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান৷
ভোক্তা অধিকার দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, "ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে ২০০৯ সালে আইনটি হয়েছে৷ এখন এ আইনের সুবিধাটি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে৷ সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়েই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ভোক্তার অধিকারের বিষয়টি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে৷”
ভোক্তা অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে এ দিবস পালন আরও যথাযথ হবে বলে মনে করেন তিনি৷
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ' করা হয়৷ ২০১০ সালে এ আইনের আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর৷
প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোক্তাদের কাছ থেকে অধিদপ্তর ৮৮ হাজার ৯১৮টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছে৷ এরমধ্যে ৮৩ হাজার ৭৯৮টি বা ৯৪ দশমিক ২৪ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে৷
নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের মধ্যে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮ হাজার ৩২৮টি৷ অর্থাৎ মাত্র ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর৷
এই সময়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা৷
আর বিভিন্ন বাজারে অভিযানের সময়ে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে ১০২ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা৷ এ দুটি খাত মিলিয়ে জরিমানার মোট পরিমাণ ১০৮ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা৷
ভোক্তাদের মধ্যে ৮ হাজার ১৯৭ জন অভিযোগকারী জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে পেয়েছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা৷
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ভোক্তাদের কাছ থেকে ১৬ হাজার ৫৪টি অভিযোগ পেয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৭টি বা ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশের৷
নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগের মধ্যে ৬২১টি প্রতিষ্ঠান বা ৫ দশমিক ৪০ শতাংশকে জরিমানা করা হয়েছে, যার অর্থের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)