ভেনিসে ‘‘তাহরির ২০১১’’
১০ সেপ্টেম্বর ২০১১তিনভাগে গোটা কাহিনীটি দেখিয়েছেন তিন মিশরীয় চিত্রপরিচালক৷ তিনটি ভাগের নাম: ‘‘ভালো'', ‘‘মন্দ'' এবং ‘‘রাজনীতিক''৷ দেখানো হয়েছে - ভালো বলতে - আন্দোলনকারিদের৷ মন্দ বলতে - পুলিশবাহিনী৷ এবং রাজনীতিক বলতে খোদ হোসনি মুবারক৷ প্রতিভাগেই কিছু কিছু করে বাস্তব ফুটেজ আছে: যেমন প্রতিবাদকারিদের; অথবা পুলিশি নিপীড়নের; অথবা ক্রমবর্ধমান বিদ্রোহের মুখে পড়েও মুবারকের বক্তৃতায় একনায়কের হম্বি-তম্বি৷ আর যোগ করা হয়েছে প্রকৃত আন্দেলনকারি, পুলিশ কর্মকর্তা, মুবারকের উপদেষ্টা-সহযোগী এবং সাধারণভাবে রাজনৈতিক বিশ্লষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার৷
ছবিটির তিন পরিচালকই আন্দোলন চলাকালীন তা'তে অংশ নিয়েছেন এবং যুগপৎ ছবি তুলেছেন৷ তামের এজ্জাৎ ভেনিসে সাংবাদিকদের বলেন যে, ছবিটির বাণী হল, বিপ্লব এখনও চলেছে৷ মুবারকের পদত্যাগ একটা মোড় ফেরা বটে, কিন্তু কাহিনী যে সেখানেই শেষ হয়েছে, এমন বলা চলে না৷ আমর সালামা, যিনি মুবারক অংশটির পরিচালক, তিনি বলেছেন, ছবিটি হল মুবারকের মাথার মধ্যে কি ঘটছে, তা' বোঝার এবং বোঝানোর একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা৷ আন্দোলন চলাকালীন মুবারক যেন বাস্তবকে প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করেছেন৷ বুঝতেই চাননি, কি ঘটছে অথবা কেন ঘটছে৷
‘‘তাহরির ২০১১'' তথ্যচিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, আরব বসন্তের সেই দিনগুলোতে সোশাল মিডিয়া এবং মোবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহার৷ এজ্জাৎ বলেছেন: ‘‘তাহরির তত্বরে কোনো আন্দোলনকারি আহত হলেই দেখা যেতো, পাঁচজন তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে এবং আরো ত্রিশজন সেই দৃশ্যের ছবি তুলছে৷ এভাবেই তথ্যের উপর কর্তৃপক্ষের বজ্রমুষ্টি শিথিল করেছে ‘নাগরিক সংবাদদাতারা'৷ এবং তাদের তোলা সেই সব ফুটেজ যে ভবিষ্যতে আরো অনেক তথ্যচিত্রের জন্ম দেবে, সে'বিষয়ে এজ্জাতের কোনো সন্দেহ নেই৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম