ভূমিকম্পের পর তুরস্ক
২৪ অক্টোবর ২০১১তুরস্কে রিশটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনো নিরূপণ করা যায়নি৷ উঁচু উঁচু ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে৷ কয়েক ডজন মানুষ এসব স্তুপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ উদ্ধারকাজ চলছে৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এয়ার্চিস শহরে৷ সেখানে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের বসবাস৷ শহরটি ইরানের সীমান্তে অবস্থিত৷ সেখানে প্রায় ৮০টি ভবন পুরোপুরি ধ্বসে গিয়েছে৷ সবমিলে মারা গেছে প্রায় ২৭০ জন মানুষ৷ তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে৷ আহত হয়েছে প্রায় তেরশো৷
আশেপাশের দেশগুলো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্কের প্রতি৷ গ্রিক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ আজ জানিয়েছেন তার দেশ তুরস্ককে সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ তিনি জানান, তুরস্ককে যেভাবে সম্ভব, যতটুকু সম্ভব সাহায্য করবে গ্রিস৷ তিনি আরো বলেন, যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষদের আরো কাছে নিয়ে আসে৷ গ্রিস ছাড়াও আজেরবাইজান, ইরান এবং বুলগেরিয়া সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷
তুরস্কের ইজমিত শহরে এর আগে ১৯৯৯ সালে আরেকটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল৷ রিশটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৬৷ সতের হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল৷ প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ান এয়ার্চিস শহর পরিদর্শন করে গেছেন৷ সরকার জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার সেসব ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পুষিয়ে দেবে৷
ভ্যান শহরটি তুরস্কের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত৷ এই এলাকাটিতে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে৷ এয়ার্চিস ভ্যান থেকে ৬০ মাইল দূরে অবস্থিত৷ সেখানে ধ্বংসস্তুপের নীচে এখনো মানুষ আটকা পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে৷ কয়েক শ মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে৷ এই শহরে প্রায় দশ লক্ষ মানুষের বসবাস৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন