ভূমিকম্প-সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় নিহত অন্তত ৪০০
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এ সুনামিতে আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ৷
সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী পালুর পাশাপাশি ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ৮০ কিলোমিটার দূরে থাকা ডোঙ্গালা শহরেও আঘাত হেনেছে সুনামি৷ পালু ও ডোঙ্গালায় প্রায় সাত লাখ মানুষ বাস করেন৷
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৮৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে৷ সংস্থাটি বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই পালুর বাসিন্দা৷ তবে এ সংখ্যা চারশ' ছাড়িয়েছে বলে তথ্য দিচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো৷
দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরুও বলছেন, ‘‘যখন সুনামির হুমকি দেখা দেয়, তখনও অনেকেই সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এবং পালিয়ে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে না যাওয়ায় তাঁরাই এর শিকারে পরণত হয়েছেন৷''
সুনামির আঘাতে পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ফলে স্বাভাবিক উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে৷ রানওয়ে ও কন্ট্রোল টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে শহরটির বিমানবন্দর৷ দ্রুত বিমানবন্দর মেরামত করে ত্রাণ তৎপরতা শুরুর চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পালু শহরে সুনামি যখন আঘাত করে, আতঙ্কে লোকজন ছুটাছুটি করছেন৷
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো জানিয়েছেন, অঞ্চলটিতে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়েছে৷
‘তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা'
শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মাটির খুব বেশি গভীরে ছিল না৷ ফলে শত শত কিলোমিটার দূরেও এর ভয়াবহতা টের পাওয়া গিয়েছিল৷ শনিবার সকাল পর্যন্তও এর আফটারশক টের পাওয়া যাচ্ছিলো৷
অগভীর এসব ভূমিকম্প সাধারণত মাত্রা কম হলেও বেশি বিধ্বংসী হয়ে থাকে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই ও আগস্টে লম্বক দ্বীপের যে ভূমিকম্পে কয়েকশ' মানুষ নিহত হয়েছিলেন, এবারের ভূমিকম্প তার চেয়েও ভয়ঙ্কর৷
ইন্দোনেশিয়া একটি তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত৷২০০৪ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে ভারত মহাসাগরে ভয়াবহ আকারের সুনামির সৃষ্টি হয়৷ এ সুনামিতে ১৩টি দেশে অন্তত দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ নিহত হন৷ শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই নিহত হয়েছিলেন এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ৷
এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স)