ভাস্কর্য: যুক্তির শক্তি বা অহেতুক কৌতুক
২৬ নভেম্বর ২০২০যুক্তিটা তোলা থাকল, আগে বরং কৌতুকই বলি৷
সোভিয়েত শাসনামল নিয়ে কৌতুক তো এখনও বিশ্বসেরা৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে এই একই কৌতুকের নানা ভার্সনও পাওয়া যায়৷ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে কয়েকটি কৌতুক উল্লেখ করা যেতেই পারে৷
১) ১৯৮২ সাল, পোল্যান্ড তখনও সোভিয়েত দখলে৷ এক পোলিশ নাগরিক ৩০০ স্লোটি (পোলিশ মুদ্রা) ব্যাংকে জমা দেয়া নিয়ে খুব দ্বিধায় রয়েছেন৷ ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
- আপনি এত চিন্তা করছেন কেন?
- যদি আপনারা দেউলিয়া হয়ে যান?
- তাহলে পোল্যান্ড সরকার আপনার টাকা ফেরত দেবে৷
- যদি পোল্যান্ড দেউলিয়া হয়ে যায়?
- তখন সোভিয়েত ব্লক আমাদের সহায়তা করবে৷
- কিন্তু যদি সোভিয়েত ইউনিয়ন দেউলিয়া হয়ে যায়?
- আহা, মাত্র ৩০০ স্লোটির বিনিময়ে এত বড় অর্জন মেনে নিতে পারবেন না?
২) ১৯৮১ সালে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ দ্বিতীয় জন পলকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়৷ শোনা যায়, সে হত্যাচেষ্টায় সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত রয়েছে৷ এ বিষয়ে কথা বলতে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন মহাসচিব ইউরি আন্দ্রোপভ ডেকে পাঠিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির প্রধান চেবরিকভকে৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘‘পোপকে হত্যাচেষ্টায় সোভিয়েত ইউনিয়নের দায় নেই, এমন কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে আছে?’’ চেবরিকভ উত্তর দিলেন, ‘‘হ্যাঁ, পোপই আগে আমাদের গুলি করেছেন, এমন কিছু প্রমাণ আমরা যোগাড় করেছি৷’’
৩) সোভিয়েত ইউনিয়নে পার্লামেন্ট নির্বাচন৷ ভোটারদের যে ব্যালট দেয়া হয়েছে, সেখানে কারো ছবি বা নাম কিছুই নেই, আছে কেবল টিক চিহ্ন দেয়ার জন্য কয়েকটি খালি ঘর৷ এক ভোটার ব্যালট হাতে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন৷ নির্বাচন কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘এত কী চিন্তা করছেন?’’ ভোটার বললেন, ‘‘কাকে ভোট দিচ্ছি তার নাম-ছবি না থাকলে জানবো কিভাবে?’’ উত্তর এলো, ‘‘আহা, এটা গোপন ভোট, জানেন না? প্রার্থীর নাম-ছবি ছাপালে তো আর গোপনীয়তা থাকলো না৷’’
সোভিয়েত আমলে এসব কৌতুক এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে অনেক নেতা নিজেরাই তাদের নিয়ে প্রচলিত কৌতুক হাসতে হাসতেই বলতেন৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিককে নিজেই নীচের কৌতুকটা বলেছিলেন৷
৪) ভদকার দোকানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুই বন্ধু লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ কিন্তু লাইন একেবারেই নড়ছে না৷ একসময় একজন রেগেমেগে বললেন, ‘‘আমি আর পারছি না, কোথাও গিয়ে কিছু কিনতে পারি না৷ এভাবে কতদিন চলা যায়! স্টুপিড গর্বাচেভ আর তার নীতির জন্যই আজকে এই অবস্থা৷ আমি এখনই পার্লামেন্টে যাচ্ছি, গর্বাচেভকে নিজেই পিটিয়ে আসবো৷’’ কয়েক ঘণ্টা পর আরো বেশি রাগী চেহারা নিয়ে তিনি ফিরে এলেন৷ ‘‘দেশের কী একটা অবস্থা! পার্লামেন্টের সামনে আরো লম্বা লাইন৷’’
এদিকে, ভাস্কর্য নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক তর্কযুদ্ধ চলছে৷ ভাস্কর্য কেবল ধর্মের বিষয় না, বরং ইতিহাস-সংস্কৃতির সঙ্গেও যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে আছে ভাস্কর্য৷ একসময় রাজা-মহারাজারা নিজেদের শৌর্য্য প্রচারের জন্য স্থাপন করতেন সোনায় মোড়ানো ভাস্কর্য৷ আবার কোনো নির্দিষ্ট ধারণা, মত, নীতির প্রচারেও ব্যবহার হয়ে আসছে ভাস্কর্য৷
কয়েক মাস আগেই যখন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তার ঢেউ লাগে যুক্তরাজ্যেও৷ ব্রিস্টলে শত বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা দাস ব্যবসায়ীদের ভাস্কর্য উপড়ে ফেলেন প্রতিবাদকারীরা৷ কিন্তু এটিরও পক্ষে-বিপক্ষে উত্তপ্ত আলোচনা শুরু হয়৷ যারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, তারা মনে করেন যারা দাসপ্রথার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের ভাস্কর্য থাকা মানে তাকে শ্রদ্ধা জানানো৷ ভাস্কর্য রাখার পক্ষে যারা ছিলেন তারাও দাসপ্রথাকে সমর্থন করেন না৷ তবে তারা মনে করেন, দেশের ইতিহাসে যদি দাসপ্রথার মতো লজ্জাজনক কিছু থেকে থাকে সেটিকে অস্বীকার না করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা হিসেবে রাখা উচিত৷
সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকের বাগদাদে তার বিশাল ভাস্কর্যটি চুরমার করে ফেলা হয়৷ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে সাদ্দাম নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চেয়েছিলেন, ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে তার সে ক্ষমতার পতনের খবরটা জানালেন প্রতিবাদকারীরা৷
একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানের বামিয়ানে৷ ১৯৯৮ সালে বামিয়ান উপত্যকা দখলে নেয় তালিবান৷ এরপরই সেই অঞ্চলের তালিবান কমান্ডার বামিয়ানের পাহাড় কেটে বানানো দেড় হাজার বছর আগের বৌদ্ধমূর্তি ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেন৷ তবে স্বয়ং তালিবান নেতা মোল্লা ওমর ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে একটি নির্দেশ দেন, যেখানে বামিয়ানের বৌদ্ধমূর্তি না ভেঙে সংরক্ষণের৷ ওই এলাকায় আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বাস করেন না, ফলে মূর্তিগুলো আর উপাসনার কাজে ব্যবহার হয় না, উল্লেখ করে মোল্লা ওমরের নির্দেশে বলা হয়, ‘‘যেহেতু বিদেশি পর্যটকেরা এই মূর্তি দেখতে আফগানিস্তান আসেন, ফলে সরকার বামিয়ানের ভাস্কর্যকে একটি আয়ের উৎস হিসেবেই দেখছে৷ তালিবান বামিয়ানের ভাস্কর্য ধ্বংস না করে বরং রক্ষা করবে৷’’
কিন্তু পরে পূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থন না পাওয়ায় তালিবান সরকারের সে উদ্দেশ্য আর সফল হয়নি৷ ফলে ২০০১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সেটিকে ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেয় তালিবান৷ তখন পর্যন্ত পাকিস্তান, সোদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বীকৃতি পেয়েছিল তালিবান সরকার৷ কিন্তু বামিয়ানের মূর্তি ভাঙার ঘোষণায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর জোট ওআইসি যে প্রতিবাদ জানায়, সেখানে এই তিন দেশও প্রতিবাদে অংশ নেয়৷ কেবল তাই নয়, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ভাস্কর্যটি রক্ষার জন্য দূত হিসেবে মউনুদ্দিন হায়দারকে কাবুল পাঠান৷ বামিয়ানের মূর্তি ধ্বংসের পর আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এমন কার্যক্রমকে ‘বর্বর’ বলেও উল্লেখ করা হয়৷
ফলে ইতিহাস বলে, ভাস্কর্য নিয়ে ভাঙা-গড়ার বিতর্ক তৈরি করাটা যতটা না ধর্ম বা নীতির জায়গা থেকে তৈরি করা হয়, তার চেয়ে বেশি থাকে নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের ধান্দা৷ নানা পক্ষই এমন ধান্দা যুগ যুগ ধরে চালিয়ে আসছেন৷
বাংলাদেশেও স্বাধীনতার পর থেকে নানা সময়ে, নানা সরকারের আমলে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক অপরাজেয় বাংলা নির্মাণের সময়ও কট্টরপন্থিদের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি উঠেছিল, সেটির নির্মাণকাজ থেমেও গিয়েছিল৷ পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সেটির নির্মাণকাজ শেষ হয়৷ আর এখন তো স্বয়ং জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যও অনেক জায়গাতেই রয়েছে৷
এরপর মতিঝিলের বলাকা ভাস্কর্যে হামলা চালিয়ে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত করা, জিপিওর সামনে থেকে বর্ষা নিক্ষেপের ভাস্কর্য রাতের অন্ধকারে সরিয়ে ফেলা, কট্টরপন্থিদের হুমকিধামকিতে বিমানবন্দরের সামনে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক বাউল ভাস্কর্য, হাই কোর্টের সামনের বিচারের প্রতীক লেডি জাস্টিস ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা, বরাবরই এসব হুমকিতে সরকার ছাড় দিয়ে এসেছে৷ ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়ার বদলে বরং কে বেশি ধার্মিক তেমন প্রচারের প্রতিযোগিতাও আমরা নানা সময়েই দেখেছি৷
ফলে যা হওয়ার কথা, তাই হয়েছে৷ সব পেরিয়ে বিতর্ক এখন স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে এসে ঠেকেছে৷
যে যুক্তিগুলো উঠছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ইসলামে ভাস্কর্য হারাম৷’ সেটি আসলেই কিনা, এ নিয়েও বিতর্ক চলছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে৷ আমি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না, ফলে মন্তব্য করছি না৷ কিন্তু আমার মন্তব্য অন্য জায়গায়৷ বাংলাদেশ ইসলামিক রাষ্ট্র না৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও সংবিধান অনুসারে এটি এখনও ধর্মনিরপেক্ষ৷ ফলে কদিন পরপরই ‘ইসলামে হারাম’ এবং ‘৯০ শতাংশের দেশ’ বলে কোনো কিছু পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়ার আবদারটা কতটা উচিত? প্রায় সব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেই কিন্তু ভাস্কর্য রয়েছে এবং সেগুলোকে শিল্প-সংস্কৃতি-ইতিহাসের অংশ হিসেবেই সেসব দেশে সমাদরের সঙ্গেই দেখা হয়৷
একসময় নারী নেতৃত্ব, ছবি তোলা, টিভি দেখা নিয়ে একই ধরনের আপত্তি শোনা গেলেও এখন আর সেগুলো তেমন একটা শোনা যায় না৷ কেন সেসব আপত্তি আর কেউ জোরেশোরে তোলেন না, একটু ভেবে দেখবেন৷
দ্বিতীয় যুক্তিটা বেশ হাস্যকর৷ ভাস্কর্য হলে সেটির ওপর পাখি বসবে এবং সেখানে পয়নিষ্কাষণ করবে৷ ফলে যার ভাস্কর্য তার সম্মানহানি হবে৷ এই যুক্তি অনেকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন এবং ফেসবুকে শেয়ারও করছেন৷ হয়তো তারা মনে করেন পৃথিবীর কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ের ওপর কখনও পাখি বসে না৷
এমন যুক্তি যারা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, তাদের জন্যও সোভিয়েত কৌতুক রয়েছে৷
৫) দীর্ঘদিন লেনিন ও স্ট্যালিনের যুগল ভাস্কর্যকে অবহেলায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ঈশ্বরের দয়া হলো৷ তিনি ভাস্কর্যদ্বয়ে প্রাণ দিয়ে বললেন, ‘তোদের দেখে মায়া হলো, ১০ মিনিটের জন্য প্রাণ দিলাম, যা করিস কর৷’ ঈশ্বর অবশ্য একটু ভয়ে ভয়েই ছিলেন, প্রাণ পেয়েই যদি এরা আবার কমিউনিজম এবং নাস্তিকতা ছড়ানো শুরু করে, তাহলে ঈশ্বরের নিজের অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি পড়বে৷
কিন্তু একি! ১০ মিনিটের জন্য প্রাণ পেয়েই লেলিন-স্ট্যালিন দৌঁড়ে গেলেন ঝোপের আড়ালে৷ ফিরে আসার পর তাদের মুখে একরাশ তৃপ্তি দেখে অবাক হলেও ঈশ্বর বললেন, ‘‘যা, তোদের আরো ১০ মিনিটের জন্য প্রাণ দিলাম৷’’
এবার আগের চেয়েও দ্রুত ঝোপের দিকে ছুটে গেলেন লেলিন-স্ট্যালিন৷ এবার কৌতুহলি হয়ে ঈশ্বরও এগিয়ে গেলেন ঝোপের দিকে৷ শুনলেন স্ট্যালিন লেলিনকে বলছেন, ‘‘নেতা এবার আপনি কবুতরটাকে ধরে রাখেন, আমি ওর ওপর টয়লেট করি৷ গত ১০০ বছর কী পরিমাণ যন্ত্রণা দিয়েছে!’’ সব শুনে ঈশ্বরের মাথায় হাত৷
স্ট্যালিনের শাসনকে অনেকেই সোভিয়েত আমলের সবচেয়ে আগ্রাসী সময় হিসেবে দেখে থাকেন৷ শেষ কৌতুকটি তাকে নিয়েই৷
৬) স্ট্যালিন মারা যাওয়ার পর তার এক বিশাল ভাস্কর্য বানানো হলো৷ নীচে লিখে দেয়া হলো- স্ট্যালিন মারা গেছেন, তবে তার কাজ বেঁচে থাকবে চিরকাল৷ এক মস্কোবাসীকে দেখা গেলো ভাস্কর্যের পাশ দিয়ে গজগজ করতে করতে হেঁটে যেতে৷ তিনি বলছিলেন, ‘‘এর চেয়ে বরং স্ট্যালিন যদি চিরকাল বেঁচে থাকতেন, তার কাজগুলো মরে যেত তাহলে বেশি ভালো হতো না?
কৌতুক শেষ, এবার একটু সিরিয়াস কথা বলি৷
ভাস্কর্য ভেঙে ফেললেই ধর্ম রক্ষা হবে কী? ঘুস-দুর্নীতি-ধর্ষণ-বেকারত্ব-পরনিন্দা-পরচর্চাসহ যত অজাচার-অনাচার সমাজ ও রাষ্ট্রে রয়েছে, এর বিরুদ্ধে কখনও এমন আন্দোলন দেখা যাবে না৷ কারণ সেগুলোর বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা সহজ নয়, অথচ এই বিষয়গুলোই মানুষকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ ধর্ম নিয়ে কিছুদিন পরপর বিতর্ক উসকে দেয়া হয় কেবল নিজেদের ‘অন্য স্বার্থ’ হাসিলের জন্য, সেটাও আমরা কখনও ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখি না৷ আর আমাদের সেই সর্বদা গরম মাথার সুযোগ কেবল আমাদের দেশেই নয়, আমাদের আশেপাশের নানা দেশেও সফলভাবে কাজে লাগাচ্ছেন ধর্মব্যবসায়ীরা৷
একইভাবে এটাও বলতেই হয়, ভাস্কর্য নির্মাণ করলেই কী কাউকে সম্মান করা হয়? ধর্মনিরপেক্ষতা, বৈষম্য দূরীকরণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্খাগুলো ছিল তা বাস্তবায়ন করাই তো আসল সম্মান৷ এগুলোর বাস্তবায়ন কতদূর?
২০১৫ সালের মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...