প্রজাতন্ত্র দিবস
২৬ জানুয়ারি ২০১২দেশ জুড়ে ৬৩-তম প্রজাতন্ত্র দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে ফুটে ওঠে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের ছবিটা৷ দেড় ঘন্টার মূল অনুষ্ঠান দিল্লির রাজপথে৷বিশেষ মঞ্চ থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখা এবং আধা-সামরিক জওয়ানদের অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল৷ পাশে ছিলেন এবছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের বিশেষ অতিথি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইয়াংলাক শিনাওয়াত্রা৷ স্মরণ করা হয় বীর শহিদদের৷
সামরিক শক্তির কুচকাওয়াজে আসে সর্বাধুনিক টি-৭২ ট্যাঙ্ক, স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূর পাল্লার পরমাণু শক্তির অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্র. চালক বিহীন গোয়েন্দা বিমান রুস্তম, জ্যামার সিস্টেম, পরমাণু বায়োলজিক্যাল কেমিক্যাল ইত্যাদি৷ উড়ে যায় বিমান বাহিনীর আধুনিক হেলিকপ্টার, ভারি মালবাহী বিমান হারকিউলিস যেগুলি চালান মহিলা পাইলট৷ ইন্ডিয়া গেটের ওপর দিয়ে ফ্লাই-পাস্ট করে যায় জাগুয়ার ও এস-ইউ-৩০ জঙ্গি বিমান৷ দর্শকদের মন কেড়ে নেয়৷
এরপর রাজপথ দিয়ে যায় বিভিন্ন রাজ্যের ২৩টি চলমান ট্যাবলো একের পর এক৷ প্রথমেই আসে পশ্চিমবঙ্গ৷ ১২ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো৷ থিম ছিল শান্তিনিকেতন৷ প্রকৃতির মাঝে শিক্ষাদানের ঐতিহ্য৷ উপাসনা গৃহ৷ রামকিঙ্কর বেজের দুটি ভাস্কর্য, কলের বাঁশি ও সুজাতা৷ ট্যাবলোতে থাকা শিল্পীদের নাচ ও গান৷ অন্যান্য রাজ্যের ট্যাবলোগুলি কম আকর্ষণীয় ছিলনা৷প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতি মূর্ত৷ আসাম৷ গোয়া৷
দেশজুড়ে নিরাপত্তায় কোনো ফাঁক ছিলনা৷ বিশেষ বিশেষ জায়গায় সতর্ক দৃষ্টি নিরাপত্তা বাহিনীর৷ মাওবাদী রাজ্য, পূর্বাঞ্চলীয় জঙ্গি অধ্যুষিত রাজ্য এবং জম্মু-কাশ্মীরে প্রজাতন্ত্র দিবস বর্জনের ডাক দেয়া হলেও সাড়া দেয়নি মানুষ৷ কোনরকম হিংসার খবর পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক