1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের সংসদে লোকপাল বিল নিয়ে আলোড়ন

২২ ডিসেম্বর ২০১১

সংসদে সংশোধিত লোকপাল বিল নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি বৃহস্পতিবার তুমুল হৈহট্টগোল শুরু করে৷ তাদের প্রধান দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে বিলের আওতায় আনতে হবে এবং লোকপালে রাখতে হবে কোটা ব্যবস্থা৷

https://p.dw.com/p/13Xib
ছবি: AP

অবশেষে সংসদে রাখা হলো বহুচর্চিত সংশোধিত লোকপাল বিল৷ বিরোধী দলগুলি এই বিল মানতে নারাজ৷ উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের অধিবেশন৷ কারণ তাদের মতে এই বিলে বহু ঘাটতি রয়ে গেছে৷ আরজেডি দলের লালু যাদব, সমাজবাদী পার্টির মুলায়েম সিং যাদব এবং রামবিলাস পাশোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টির দাবি, লোকপালে রাখতে হবে কোটা ব্যবস্থা অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব থাকা চাই৷ বিজেপি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি এবং বাম দলের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো অর্থাৎ সিবিআইকে আনতে হবে বিলের আওতায়৷

রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় পর্যবেক্ষকরা এই বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা অশনিসঙ্কেত লক্ষ করছেন৷ মনে করছেন, মহিলাদের জন্য দেশের আইনসভায় ৩৩% আসন সংরক্ষণ বিল আজও পাশ করা যায়নি এই কোটা রাজনীতির জন্য৷ লোকপাল বিলের পরিণতি কী তাই হবে ?

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক স্বরাজ বসু এবিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বললেন, আন্না হাজারেকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে নাগরিক সচেতনতা গড়ে উঠেছে, তাতে সংসদকে শেষপর্যন্ত এই বিল মেনে নিতে হবে৷ প্রধান দুটি দল বিজেপি ও কংগ্রেস চলতি অধিবেশনে এই বিল পাশ করার বিষয়ে এক জায়গায় পৌঁছেছে৷ কিন্তু ছোট রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে বিভেদ দেখা দিয়েছে, সেটার মোকাবিলা সরকার কীভাবে করবে তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে একটা চিন্তা থাকছে৷ সংসদের বাইরে সুশীল সমাজের চাপে আজ হোক বা কাল সংসদকে মেনে নিতে হবে৷

সংরক্ষণের রাজনীতি দেশে ব্যাপক হয়ে উঠেছে৷ আগে যেটা সামাজিক সাম্যের জন্য দরকার বলে মনে করা হতো, এখন দেখা যাচ্ছে সামাজিক সাম্য আনতে গিয়ে কোটা ব্যবস্থা সব জায়গায় চলে আসছে৷ পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সচ্ছল শ্রেণি সেই চেষ্টাই চালিয়ে আসছে৷ আর বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলি তা মেনে নিচ্ছে৷

কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে লোকপাল বিলের বাইরে রাখা নিয়ে অধ্যাপক বসু বলেন, সিবিআইকে অবশ্যই বিলের আওতায় আনা জরুরি৷ সিবিআই শাসক দলের এক মস্ত হাতিয়ার৷এটাকে সরানো দরকার৷

প্রতিবেদন : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য