ভারতে পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরির সমস্যা
২৮ অক্টোবর ২০১২জার্মানির ‘ডয়চে পোস্ট' কোম্পানিতে চাকরি করেন মাথিয়াস শেফার৷ কোলন শহরের পুরনো একটি ফ্ল্যাট কিনে তিনি সেটাকে সংস্কার করে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছেন৷ এতে তাঁর বার্ষিক জ্বালানি খরচ কমে গেছে প্রায় পাঁচগুণ৷ আগে যেখানে তাঁর খরচ হতো ২,৭৩০ ইউরো৷ এখন সেটা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৬৪ ইউরোতে৷
এই তো গেলো পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরির একটা সুবিধার কথা৷ তবে শেফার যে কারণে এ ধরণের ব্যয়বহুল বাড়ি তৈরিতে উৎসাহী হয়েছেন সেটা হচ্ছে, কম সুদে ঋণ গ্রহণ সুবিধা৷ সরকারি সংস্থা কেএফডাব্লিউ থেকে তিনি দুই শতাংশেরও কম হারে ঋণ পেয়েছেন৷ যেখানে সাধারণ বাড়ি তৈরির জন্য নেয়া ঋণের সুদের হার প্রায় তিন বা তারও বেশি৷
পরিবেশ বান্ধব নতুন বাড়ি কেনা বা পুরনো বাড়িকে সংস্কার করে পরিবেশ বান্ধব করা – এই দুই কাজের জন্যই কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করেছে জার্মান সরকার৷ ফলে দিন দিন বাড়ছে এ ধরণের বাড়ি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা৷
ভারত সরকার ক'দিন আগে এ বিষয়ে একটি উদ্যোগ নিয়েছে৷ ফলে বিশ হাজার বর্গমিটারের বড় কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হলে ‘পরিবেশ ছাড়পত্র' নিতে হবে৷
তবে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট বা অন্য কোনো ভবন তৈরিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্দীপনামূলক পদক্ষেপ নেই৷ তাই পরিবেশ বান্ধব ভবন তৈরি এখনও বেশ ব্যয়বহুল একটা ব্যাপার, বলে মনে করেন নির্মাতারা৷ তাঁরা বলছেন, ‘সবুজ' বাড়ির জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে থাকার মতো ভাড়াটিয়া বা ক্রেতা খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর৷
নির্মাণ খাতে অর্থ সহায়তা প্রদানকারী একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করা রজত মালহোত্রা বলছেন, ‘‘পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরিতে সরকার সরাসরি কোনো ইনসেনটিভের ব্যবস্থা না করলে নির্মাতারা এক্ষেত্রে আগ্রহী হবেন না৷''