জার্মান রাষ্ট্রদূত
২৪ অক্টোবর ২০১২ড. আলব্রেশট কনসে জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় এসেছেন আরো একমাস আগে৷ তিনি মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন৷ পরিচয়পত্র পেশ করার পর দুপুরে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন৷ তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষরও করেন৷ আর জাদুঘর পরিদর্শনের পর তিনি কথা বলেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷
ড. আলব্রেশট কনসে বলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মুগ্ধ হয়েছেন দারিদ্র্যকে পিছনে ফেলতে এ দেশের মানুষের নানামুখী কর্মতৎপরতা ও সংগ্রামী ভূমিকা দেখে৷ তিনি বিশ্বের কোথাও দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলতে এমন প্রচেষ্টা আর কখনো দেখেন নি৷ তাই তিনি আশাবাদী বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবে৷
ডয়চে ভেলের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলদেশের শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁর মতে, শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প নয়, সব ধরণের শিল্পের জন্যই বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি মূল চালিকা শক্তি৷ আর শিল্প খাতের পরবর্তী উন্নয়নও এর ওপর নির্ভর করে৷ বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নের জন্য এর উৎপাদন বাড়াতে হবে৷ সঞ্চালন লাইন আরো শক্তিশালী করতে হবে৷ এ কারণেই জার্মানি আগামী তিন বছর বাংলাদেশের এই খাতকে বেশি গুরুত্ব দেবে৷
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন নতুন জার্মান রাষ্ট্রদূত৷ তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় সামনে জার্মানিতেও সাধারণ নির্বাচন৷ নির্বাচনের জন্য সবাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়৷ ভোটরা যখন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, তখনই সত্যিকারের ভালো ফলাফল পাওয়া যায়৷ তিনি আশা করেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে৷ এবং সবাই সেই নির্বাচনে অংশ নেবে৷
জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেশট কনসে ঢাকায় সাবেক রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েলের স্থলাভিষিক্ত হলেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ