1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় রেলের সংস্কারে জার্মান সংস্থা

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সম্প্রতি ভারত সফরে এসে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর।

https://p.dw.com/p/4O3aA
মোদী-শলৎস
ছবি: Manish Swarup/AP Photo/picture alliance

জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস ভারত সফরে আসার মাসখানেক আগেই ভারতীয় রেলের সঙ্গে জার্মান সংস্থা সিমেন্সের একটি চুক্তি সই হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারত তিন বিলিয়ন ইউরো খরচ করে দেশের রেলের আধুনিকীকরণ করবে। আর সেই পুরো কাজটাই করবে সিমেন্স। ১১ বছরের সময়পর্বে ভারত সিমেন্সের কাছ থেকে সব মিলিয়ে এক হাজার ২০০টি অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক লোকোমেটিভ বা ইঞ্জিন নেবে। ৩৫ বছর ধরে সিমেন্স সেই লোকোমোটিভের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। বস্তুত, এর জন্য ভারতের গুজরাটে সিমেন্স একটি কারখানা তৈরি করবে। যেখানে রেল এবং সিমেন্স একসঙ্গে কাজ করবে।

সিমেন্সের সিইও রোল্যান্ড বুশ সম্প্রতি শলৎসের সঙ্গে ভারত সফরে এসেছিলেন। দুই দিনের সফরে তারা একদিন দিল্লি এবং একদিন ভারতের আইটি হাব বেঙ্গালুরুতে গেছিলেন। এবারের সফরে এসে বুশ জানিয়েছেন, ভারতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ সহায়ক আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব। সেসব নিয়ে এবার তাদের আলোচনাও হয়েছে।

বস্তুত, শলৎস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুইজনেই জানিয়েছেন, তাদের আলোচনা সদর্থক হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বেশি মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শলৎস ভারতের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বাণি্জ্য চুক্তি নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেই আলোচনাও সদর্থক হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, জার্মানি মনে করেছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের চুক্তিটি এবারেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

অন্যদিকে শলৎস জানিয়েছেন, ভারতে প্রায় এক ৮০০ জার্মান সংস্থা কাজ করে। প্রচুর ভারতীয় সেই সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত। জার্মানিতেও আইটি পেশাদারদের নিয়ে যেতে চায় সংস্থাগুলি। কিন্তু ভিসা পেতে অনেক সময় দেরি হয়। ভিসার ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না হয়, তা নিয়ে চ্যান্সেলর আলোচনা করবেন। বস্তুত, এর আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক যখন ভারত সফরে এসেছিলেন, তখন তিনিও এবিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন এবং সমাধানসূত্র দ্রুত তৈরি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। শলৎস ফের সেই আশ্বাসবাণী দিয়েছেন।

তবে জার্মান সংস্থা সিমেন্সের সঙ্গে ভারতীয় রেলের যে চুক্তি হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিমেন্স জানিয়েছে, নতুন যে লোকোমোটিভগুলি তারা দেবে তা সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন মালবাহী রেল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতি টানতে পারবে। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে পণ্য সরবরাহের গতি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুধু তা-ই নয়, নতুন এই লোকোমোটিভ পরিবেশবান্ধব। এর ফলে ৮০০ মিলিয়ন টন কার্বন দূষণ কমবে বলে তাদের দাবি।

ভারতীয় রেল সরকারি সংস্থা। গোটা দেশে প্রতিদিন ট্রেন ব্যবহার করেন ২৩ মিলিয়ন মানুষ। প্রতি বছর আট দশমিক চার বিলিয়ন মানুষ ট্রেন ব্যবহার করেন। রেলের সঙ্গে যুক্ত এক দশমিক দুই মিলিয়ন কর্মী। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জার্মান সংস্থা সিমেন্স।

এসজি/জিএইচ (ডয়চে ভেলে)