1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লিতে মেট্রো চড়লেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৬ ডিসেম্বর ২০২২

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, বিকল্প বিদ্যুতের উৎস-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বেয়ারবকের।

https://p.dw.com/p/4KW86
জয়শংকর-বেয়ারবক বৈঠক
ছবি: Minister S. Jaishankar's Twitter handle/AP/picture alliance

দুই দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। সোমবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তার। বৈঠক শেষে একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই মন্ত্রী।

প্রথমে জয়শংকর এবং পরে বেয়ারবক বৈঠকের বিষয়বস্তু এবং তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। দুইজনই জানিয়েছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বস্তুত, বিবৃতি দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নও গ্রহণ করেছেন দুই মন্ত্রী।

বেয়ারবক জানিয়েছেন, ঐতিহাসিকভাবে ভারত জার্মানির সহজাত সঙ্গী। দাীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-সহ একাধিক সম্পর্ক আছে। এবার সেই সম্পর্ক আরো বড় মাত্রা পাবে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইউরোপ তো বটেই, ভারতও সমস্যায় পড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বিকল্প শক্তির উৎস, বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশই এই বিষয়ে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বস্তুত, মঙ্গলবার দিল্লির প্রান্তে হরিয়ানার একটি গ্রামে বিকল্প বিদ্যুতের একটি প্রকল্প দেখতে যাবেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিনের আলোচনায় ভিসা সমস্যা-সহ একাধিক 'প্রশাসনিক লাল ফিতের' প্রসঙ্গও উঠেছে। দুই মন্ত্রীই জানিয়েছেন, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও বেয়ারবকের সফর নিয়ে জার্মানি যে প্রেস বিবৃতি জারি করেছিল, তাতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের সঙ্গে রাশিয়া এবং চীনের সম্পর্ক নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।

জয়শংকর জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এশিয়া প্যাসিফিকের সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত নিজের কূটনৈতিক অবস্থান জানিয়েছে।

বস্তুত, জার্মান সংবাদসংস্থা এআরডি-র এক সাংবাদিক জয়শংকরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এবং ইউরোপ রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরেও ভারত কেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনেছে। উত্তরে জয়শংকর তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে যে পরিমাণ তেল কিনেছে, ইউরোপ তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি কিনেছে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও। এছাড়াও ইউরোপ রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস নিয়েছে। জয়শংকর জানিয়েছেন, ভারত বিশ্বের কথা অবশ্যই ভাববে, কিন্তু তাদের নিজের দেশের প্রয়োজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে বিষয়ে ভারত কোনোরকম আপস করবে না।

এদিন জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লির মান্ডি হাউস স্টেশনে যান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে মেট্রোয় তিনি চাঁদনিচক যান। সেখানে চাঁদনিচকের দোকান ঘুরে দেখেন। মেট্রোভ্রমণে তার সঙ্গে ছিলেন জার্মান সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকেরা।

মঙ্গলবার বেয়ারবক যাবেন ভারতের নির্বাচন কমিশনে। সেখান থেকে হরিয়ানার খড়িতে অপ্রচলিত বিদ্যুতের প্রকল্প দেখে বার্লিনে ফিরে যাওয়ার কথা তার। ভারত এবছর জি২০-র সভাপতিত্ব পেয়েছে। ফলে ফের তিনি ভারতে আসবেন বলে জানিয়েছেন বেয়ারবক। জার্মান সরকার সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছর অন্তত দুইবার জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ভারতে আসতে পারেন।

এসজি/জিএইচ (পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক বৈঠক)