ভারতীয় রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে মুম্বাইয়ে গুলি করে হত্যা
১৩ অক্টোবর ২০২৪৬৬ বছর বয়সি এই আইনপ্রণেতা ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি-অজিত পাওয়ার) নেতা৷ তিনি বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক৷পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের একজন মন্ত্রীও ছিলেন তিনি৷
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিক৷ গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবা সিদ্দিক৷
গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন, একজন পলাতক
নিজ দলের সঙ্গী হারিয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, তিনি এই ‘‘কাপুরুষোচিত আক্রমণে'' বিস্মিত হয়েছেন৷
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে এবং আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''
‘‘এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকেও খুঁজে বের করা হবে'' বলে জানিয়েছেন তিনি৷
বাবা সিদ্দিককে তিন জন মিলে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে৷
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তৃতীয় ব্যক্তিকেও খোঁজা হচ্ছে৷
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সন্দেহভাজনেরা দাবি করেছে, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য৷ এই গ্যাংটির বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে৷ তবে বাবা সিদ্দিককে হত্যার দায় এখনও স্বীকার করেনি গ্যাংটি৷
২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের অধীনে খাদ্য ও বেসামরিক সেবা সরবরাহ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাবা সিদ্দিক৷
ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে প্রায় পাঁচ দশক যুক্ত ছিলেন তিনি৷ কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন সিদ্দিক৷
সিদ্দিককে হত্যার ঘটনায় ভারতের প্রায় সব দলের রাজনীতিবিদেরা শোক জানিয়েছেন৷ একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা৷
টিএম/এআই (এএফপি, ইএফই)