ভাইরাসের চরিত্র জানলে তবেই মোকাবিলা করা সম্ভব
৭ জুলাই ২০২০সুদান থেকে নাজার ওমর হাসান ডয়চে ভেলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ভাইরাস আসলে কী? সহজে এর উত্তর দেওয়া কঠিন৷ তবে ভাইরাসের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা যেতে পারে৷ যেমন, এঁটেল পোকা এফএসএমই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটি মানুষকে কামড়ালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে৷ তখন মেনিনজাইটিস হতে পারে৷ অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ড্রপলেট বা জলীয় কণা সংক্রমণ ঘটাতে পারে৷ অর্থাৎ, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার নানা পথ রয়েছে৷
মনে রাখতে হবে, প্যাথোজেন শুধু জিনগত উপাদান ও একটি সুরক্ষা মোড়ক দিয়ে তৈরি৷ ভাইরাসের নিজস্ব মেটাবলিজম বা বিপাকীয় শক্তি নেই৷ তাই বংশবৃদ্ধি করতে সেগুলির মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর মতো ‘হোস্ট' বা পোষকের প্রয়োজন হয়৷ সংক্রমণ ঘটলে ভাইরাস পোষক কোষ দখল করে তার মধ্যে নিজস্ব জিনোটাইপ ঢুকিয়ে দেয়৷ তখন সেই কোষকে বাধ্য হয়ে নতুন ভাইরাস উৎপাদন করতে হয়৷
ভাইরাস বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বিচরণ করতে পারে৷ যেমন, এইডস ও এবোলার প্যাথোজেন বানর থেকে মানুষের কাছে আসে৷ ইঁদুর গোত্রের প্রাণী হান্টা ভাইরাস এবং পাখি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে৷ কিছু ক্ষেত্রে টিকার মাধ্যমে সুরক্ষা পাওয়া যায়৷ ফ্লুয়ের মতো ভাইরাস বার বার রূপান্তর ঘটায় বলে সেই টিকার নিয়মিত নবায়ন করতে হয়৷
সারভিক্স বা গলদেশের ক্যানসারের জন্য দায়ী প্যাথোজেন থেকেও সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব৷ অন্যদিকে কিছু ভাইরাস আবার হামলার বদলে উপকার করে৷ যেমন পারভো ভাইরাস আশেপাশের সুস্থ কোষের কোনো ক্ষতি না করেই শুধু ক্যানসার কোষের উপর হামলা চালায়৷ গবেষকরা গ্লিওব্লাসটোমাস নামের এক ধরনের আগ্রাসী ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাইরাস থেরাপি কাজে লাগাতে চান৷
প্রতিবেদন: মাবেল গুন্ডলাখ/এসবি