1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনের নির্বাচন

৬ মে ২০১৫

বৃহস্পতিবারের সংসদীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ কিংবা লেবার, কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, বলে ধরে নেওয়া যায়৷ অপরদিকে স্কটিশ জাতীয়তাবাদীদের বিপুল সাফল্যের সম্ভাবনা৷

https://p.dw.com/p/1FKnQ
Britischer Premier Cameron stellt Wahlprogramm vor
ছবি: Reuters/T. Melville

ব্রিটেনের রাজনীতি নাকি এবার ইউরোপের অন্যান্য দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র – এবং তার সঙ্গে যুক্ত অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পথে যেতে চলেছে, বলে এক মহলের আশঙ্কা৷ ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার নিক ক্লেগ, যিনি লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান, তিনি বলেছেন, কোনো স্থিতিহীন সংখ্যালঘু সরকার ক্ষমতায় এলে এ বছরেই আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াটাও আশ্চর্য নয়৷

বুধবার নির্বাচনি প্রচার অভিযানের শেষ দিন৷ কাজেই এদিন কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও তাঁর লেবার প্রতিদ্বন্দ্বী এড মিলিব্যান্ড পড়তি-ঝড়তি ভোট সংগ্রহের আশায় সারা দেশে চক্কর দিচ্ছেন৷ তবে বিবিসি-র সর্বাধুনিক জরিপ বলছে, কনজারভেটিভরা পাবে ৩৪ শতাংশ ভোট এবং লেবার ৩৩ শতাংশ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী ইউকিপ – অর্থাৎ ইউকে ইনডিপেন্ডেন্স পার্টি পেতে চলেছে ১৪ শতাংশ ভোট৷ চতুর্থ স্থানে বর্তমান সরকারি জোটের ছোট তরফ ‘লিবডেম'-রা পাবে মাত্র আট শতাংশ ভোট – এই হলো জরিপের ফলাফল৷

সেই সঙ্গে যোগ করা দরকার যে, স্কটল্যান্ডের জাতীয়তাবাদীরা এবার প্রায় সেই ল্যাম্পপোস্টকে প্রার্থী করে জেতার পর্যায়ে পড়বে, বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে! অর্থাৎ স্কটল্যান্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতা পালে হাওয়া পাবে৷ ওদিকে ক্যামেরন আবার ঘোষণা করে বসে আছেন যে, তিনি জিতলে ব্রিটেনের ইইউ-তে থাকা কিংবা ছাড়া নিয়ে গণভোটের ব্যবস্থা করা হবে – সেই বিভীষণ ‘‘ব্রেক্সিট'', যার তুলনায় ‘‘গ্রেক্সিট'' হবে প্রায় ধানি পটকা!

জরিপ নিয়ে যারা মাথা ঘামান, তারা বলছেন, কনজারভেটিভরা লেবারের চেয়ে বেশি আসন পাবে বলেই ধরে নেওয়া যায়, যদিও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তা কুলোবে না৷ লিবডেম-রাও প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল করবে, এমন একটা সিনারিও-ও শোনা যাচ্ছে৷ তবে ২৭শে মে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন, তার মধ্যেই সরকার গঠন সম্পর্কে একটা নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার কথা৷

অপ্রীতিকর ঘটনাও যে ঘটছে না, এমন নয়৷ দক্ষিণ ইংল্যান্ডের নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ারের কনজারভেটিভ প্রার্থী রনিল জয়বর্ধেনা সম্পর্কে তাঁর ইউকিপ প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট ব্লে মন্তব্য করেছেন, জয়বর্ধেনা ব্রিটেনের প্রথম এশীয় প্রধানমন্ত্রী হলে ব্লে নাকি শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত জয়বর্ধেনাকে গুলি করে মারবেন – কেননা ব্লে-র মতে জয়বর্ধনা পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘ব্রিটিশ' নন৷ ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যাবার পর ইউকিপ ব্লে-কে সাসপেন্ড করেছে৷

তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মহিলা এই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন: রোশনারা আলি, রূপা হক এবং টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি শেখ মুজিবের নাতনি৷

এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য