অ্যামনেস্টির সমালোচনা
৪ অক্টোবর ২০১২অ্যামনেস্টি তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে, গত শনিবার কক্সবাজারে রামুতে ৭টি বৌদ্ধ বিহার আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়৷ আর বৌদ্ধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ৩০টি বাড়ি এবং দেকানপাট পুড়িয়ে দেয়া হয়৷ এরপর উখিয়া, টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে৷ তারা মনে করে, এই হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের মুসলিম, অমুসলিম এ সুশীল সমাজ গভীরভাবে আহত হয়েছে৷ এ ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে৷
পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা অ্যানেস্টিকে হতাশ করেছে৷ তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে৷ একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও আবাসস্থল এবং উপসানলায় পুনর্নিমানের দাবি জানিয়েছে৷
অ্যামনেস্টির এই দাবিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান ডয়চে ভেলেকে জানান যে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন৷ তদন্তের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হতে চান এই নারকীয় ঘটনার সঙ্গে কারা জাড়িত৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অসাম্প্রাদয়িক৷ তারা কোনভাবেই এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেনা৷
তিনি বলেন, এই ঘটনার ন্যায় বিচার নির্ভর করবে সুষ্ঠু তদন্তের ওপর৷ তিনি অভিযোগ করেন, হামলার সঙ্গে জড়িত মুখচেনা অনেককেই পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করেনি৷
আদিলুর রহমান খান বলেন, সরকারকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ