বোকো হারামের হামলায় নিহত ৬৫
২৯ জুলাই ২০১৯হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি৷ জড়িতদের খুঁজে বের করতে সেনা ও বিমানবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার মোটরসাইকেল ও ভ্যানে করে আসে বোকো হারামের কর্মীরা গ্রামটিতে পৌঁছায়৷
রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তা মুহাম্মদ বুলামা জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে বোকো হারামের ১১ সদস্যকে মেরে ফেলেছিল গ্রামবাসী৷ প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা করেছে বলে মনে করেন তিনি৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শেষকৃত্যানুষ্ঠানে শেষ হতে না হতেই আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা৷ তাদের হামলায় প্রাণ হারায় ২০ জনেরও বেশি৷ পরে গ্রামবাসী জঙ্গিদের ধাওয়া দিলে, তারা নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করতে থাকে৷ তখন মারা যায় অন্তত ৪২জন৷ আহত হয়েছে ১০ জন৷
হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন নিহতের স্বজনেরা৷ নির্বিচারে মানুষ হত্যার পর সেখানকার বাড়িঘরও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
দেশটির এ অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলা বেড়েই চলেছে। দশক ধরে চলতে থাকা সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।
সরকার হটিয়ে ওই অঞ্চলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। পশ্চিমাদের প্রতি বিদ্বেষ দেখাচ্ছে সংগঠনটি৷ পশ্চিমা ধাঁচের শিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পশ্চিমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক, সামাজিক বা যেকোনো ধরনের সম্পর্ক মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ বলেও দাবি করে আসছে বোকো হারাম৷
নাইজেরিয়া পাশাপাশি চাড, নাইজার এবং ক্যামেরুনেও বেশ সক্রিয় হয়েছে বোকো হারাম৷ বিবিসি বলছে, শিশুদেরও রেহাই দিচ্ছে না এই সংগঠনটি৷ ২০১৪ সালে বর্নোর চিবক শহরের তিনশ স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে গণমাধ্যমের নজরে আসে বোকো হারাম৷ ২০১৫ সালে বোকো হারাম সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের তালিকায় উঠে আসে।
টিএম/কেএম (বিবিসি)