বেলারুশে ফের ভোটের ইঙ্গিত প্রেসিডেন্টের
১৮ আগস্ট ২০২০সারারাত ধরে বিক্ষোভ চলছে। কারখানার কর্মী, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মিডিয়ার কর্মচারীরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর প্রতিদ্বন্দ্বী শ্বেতলানা সেনা, পুলিশকেও তাঁর পক্ষে যোগ দেয়ার ডাক দিয়েছেন। বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জরুরি বৈঠক হবে বুধবার। ইউক্রেন ও লিথুয়ানিয়াও বিপক্ষে। এই পরিস্থিতিতে মতবদল করে আবার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন লুকাশেঙ্কো।
প্রথমে তিনি বলেছিলেন, কোনোমতেই নির্বাচন করাবেন না। আবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে গেলে তাঁকে আগে হত্যা করতে হবে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরে ধর্মঘটী কর্মীদের লুকাশেঙ্কো বলেন, ''আমাদের একটা নতুন সংবিধান চালু করতে হবে। সেখানে গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর আপনারা চাইলে প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট এবং স্থানীয় স্তরে নির্বাচন হবে।''
এতদিন ধরে ফের নির্বাচনের চরম বিরোধিতা করে আসার পর এই কথা বলেছেন লুকাশেঙ্কো। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আগেকার অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন তিনি। কিন্তু এটা আপাতত বিক্ষোভ থামাবার চাল, না কি তিনি সত্যিই চাপের ফলে মতবদল করছেন তা এখনো পরিষ্কার নয়।
সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ জারি আছে। এই নিয়ে টানা নয় দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। প্রতি রাতে বিক্ষোভ হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা সাতটাতেই রাজধানী মিনস্কে পাঁচ হাজার লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। অনেকে বহু কিলোমিটার হেঁটে কুখ্যাত জেলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। লুকাশেঙ্কোকে বিপাকে ফেলে কারখানায় ধর্মঘট করছেন শ্রমিকরা। সরকারি টেলিভিশনের অনেক কর্মী হয় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন, অথবা ইস্তফা দিয়েছেন।
এর মধ্যে রাশিয়ার সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স রিপোর্ট করেছিল যে, জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেল ফোনে কথা বলেছেন লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে। কিন্তু জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেলারুশে নির্বাচনের পর থেকে ম্যার্কেল ও লুকাশেঙ্কোর মধ্যে এই ধরনের কোনো কথা হয়নি। ইইউ-র নেতারা অবশ্য বুধবার বেলারুশ নিয়ে জরুরি বৈঠক করবেন।
ইউক্রেন বেলারুশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। লিথুয়ানিয়া ঘোষণা করেছে, বেলারুশ থেকে কেউ যদি মানবিক কারণে তাদের দেশে আশ্রয় নিতে চান, তা হলে তাঁরা আশ্রয় দেবেন। বিরোধী নেত্রী শ্বেতলানা সেখানেই আছেন। সবমিলিয়ে লুকাশেঙ্কো প্রবল চাপে আছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)