বেঁচে আছে আদুরি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার একটি ডাস্টবিনে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল আদুরি৷ ২৩ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় এক নারী৷ এরপর তিনি আদুরিকে নিয়ে যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি আব্দুল লতিফ৷
অমানবিক নির্যাতনের শিকার আদুরির ছবি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে৷ এই বর্বর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্লগ লিখেছেন অনেকে, ফেসবুকে করেছেন মন্তব্য৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে নাহিদুল আইসিটি লিখেছেন, ‘‘মা-বাবা নাম দিয়েছিলেন আদুরী৷ কিন্তু হায়রে নিয়তি!!! আদুরী নামের হতভাগার আদরের চিহ্ন দেখে ক্রমাগত যান্ত্রিকতার পথে এগিয়ে যাওয়া মানুষগুলো এক মুহূর্তের জন্য হলেও ধমকে গেছে বিবেকের কাঠগোড়ায়৷''
একই ব্লগ সাইটে সৈয়দ সাইফুল আলম শোভনের লেখার শিরোনাম, ‘‘আদুরী আজ বাংলাদেশ৷ আদুরীকে নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার চাই৷'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘নির্যাতনকারী কে? তার ক্ষমতা কত দূর তা জানতে চাই না৷ কোনো সীমাবদ্ধতার কথা শুনতে চাই না৷ যেহেতু আদুরীর নির্যাতনকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার চাই৷''
আদুরিকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ এর মধ্যেই এক গৃহকর্ত্রীকে আটক করেছে৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘‘রাজধানীর পল্লবী এলাকায় শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷''
গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় ব্লগার আরিফ জেবতিক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী আদুরির নির্যাতনকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীকে অভিনন্দন জানাই৷ আমি আনন্দিত৷''
এদিকে আদুরিকে নির্যাতনকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ব্লগার শাহজাহান আহমেদ৷ নাগরিক ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা আশা করতে পারি: আদুরীর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় যে বর্বর নির্যাতন হয়েছে তার সর্বোচ্চ বিচার যেন হয়৷ পৃথিবী থেকে দাস প্রথা উঠে গেছে সেই কবে৷ কিন্তু বাংলাদেশে এর ছায়া এখনো আছে৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ