বিশ্বের প্রথম জিন-সম্পাদিত শিশুর জন্ম
২৬ নভেম্বর ২০১৮চীনের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক হি জিয়ানকুই ইউটিউবে প্রকাশ করা পাঁচটি ভিডিওতে এই জন্মদান প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানিয়েছেন৷
তার আগে এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ ও বার্তা সংস্থা এপি এই খবর প্রকাশ করে৷
অধ্যাপক জিয়ানকুই দাবি করছেন, সম্পাদনার মাধ্যমে ডিএনএতে পরিবর্তন আনার কারণে এই দুই যমজ শিশুর ভবিষ্যতে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ অথচ তাদের বাবা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি৷
তিনি জানান, ক্রিসপার/কাস৯ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিএনএ সম্পাদনা করা হয়েছে৷
তবে অধ্যাপক জিয়ানকুই-এর দাবি সঠিক কিনা তা এখনো যাচাই করে দেখা যায়নি৷
তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে তাঁর কাজের সমালোচনা করেছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে তারা৷ অধ্যাপক জিয়ানকুই এর কাজ ‘‘অ্যাকাডেমিক নৈতিকতা ও নীতিমালার মারাত্মক লঙ্ঘন'' বলে ঐ বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়৷
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিনা বেতনে ছুটিতে ছিলেন অধ্যাপক জিয়ানকুই৷
চীনের প্রায় ১০০ বিজ্ঞানীও এক যৌথ বিবৃতিতে অধ্যাপক জিয়ানকুই-এর কাজের সমালোচনা করেছেন৷ ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ ঠেকাতে আরো শক্ত সরকারি নীতিমালা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা৷
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এর জিনতত্ত্বের অধ্যাপক জয়েস হার্পার এই গবেষণাকে বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
উল্লেখ্য,জিন সম্পাদনার মাধ্যমে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রোগ ঠিক করা যায়৷ তবে প্রক্রিয়াটি বিতর্কিত৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রে শুধু গবেষণাগারে এই কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)