অধ্যাপক ইউনূস
১ মার্চ ২০১২আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ গ্রামীণ ব্যাংকে তাঁর অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়া নিয়ে জটিলতার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয় নি এখনো৷ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বলেছেন, ড. ইউনূস রাজি হলে তাঁকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র৷ বিষয়টির বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ৷
এতকাল বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শীর্ষ পদে যথাক্রমে অ্যামেরিকা ও ইউরোপেরই একচেটিয়া আধিপত্য ছিল৷ এই মুহূর্তে সেই রীতির পরিবর্তন ঘটবে, এমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না অধ্যাপক আহমেদ৷ চীন আইএমএফ'এর শীর্ষ পদের জন্য আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত আবার এক ইউরোপীয় প্রার্থীই সেই সংস্থার প্রধান হয়েছেন৷ বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী প্রধান বলেছেন, তাঁর মতে এই মুহূর্তে একজন মার্কিন প্রার্থীকেই তাঁর উত্তরসূরি করা উচিত৷ কারণ অ্যামেরিকা ও ইউরোপে বর্তমান আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট সামলানোর কঠিন কাজের গুরুদায়িত্ব তারই কাঁধে পড়বে৷ এর পরেও যদি কোনো কারণে বাকি বিশ্বের কোনো প্রার্থীর কথা ভাবা হয়, তখন চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের সমর্থনের প্রয়োজন হবে৷ অধ্যাপক ইউনূস সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়৷
তাছাড়া এটাও মনে রাখতে হবে যে অধ্যাপক ইউনূস নিজে এখনো এবিষয়ে নীরব রয়েছেন৷ অতীতে তিনি একাধিকবার বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা করেছেন৷ তাদের কর্মসূচির ফলে দারিদ্র্য বিমোচন ঘটে না বলে তিনি মনে করেন৷
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, সবার আগে গ্রামীণ ব্যাংক সংক্রান্ত বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ