বিশ্ব সেরা নাদালের ফরাসি ওপেন শিরোপা জয়
৬ জুন ২০১১রবিবার রোল্যান্ড গ্যারোসে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ফেদেরারকে ৭-৫, ৭-৬, ৫-৭ এবং ৬-১ সেটে হারিয়ে শিরোপা ছিনিয়ে নিলেন ২৫ বছর বয়সি নাদাল৷ এটি তাঁর ১০ম গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট শিরোপা৷ আর ষষ্ঠবারের মতো ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাবেক বিশ্ব সেরা সুইডিশ তারকা বিয়র্ন বিয়র্গের সারিতে পৌঁছে গেলেন৷ ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ সাল সময়ে রোল্যান্ড গ্যারোসে ছয় বার শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন বিয়র্গ৷ এবার তাঁর কাতারেই হাজির নাদাল৷
এছাড়া প্যারিস রেকর্ডে এটি নাদালের ৪৫তম জয়৷ ফরাসি টেনিসে মাত্র একবার হার মেনেছিলেন নাদাল ২০০৯ সালে সুইডিশ তারকা রবিন সডারলিং-এর কাছে৷ যাহোক, বিশ্বসেরা তালিকার শীর্ষেই ছিলেন নাদাল৷ আবারও সর্বোচ্চ আসনটি নিশ্চিত হলো তাঁর ফ্রেঞ্চ ওপেনের মধ্য দিয়ে৷ ২৯ বছর বয়সি সুইস তারকা ফেদেরার চলে গেলেন তৃতীয় ধাপে এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সার্বিয়ার নোভাক জকোভিচ৷ আর ফেদেরার-নাদাল লড়াইয়ের কথা বলতে গেলে এটি তাঁদের মধ্যে ২৫তম লড়াই ছিল৷ এর মধ্যে ১৭টিতেই জিতেছেন নাদাল৷ আর শুধুমাত্র রোল্যান্ড গ্যারোসের মাঠেই চতুর্থবারের মতো ফেদেরারকে হারালেন নাদাল৷
উত্তেজনাপূর্ণ তিন ঘণ্টা ৪০ মিনিটের লড়াই শেষে সাবেক টেনিস তারকা জিম কুরিয়ারের হাত থেকে শিরোপা গ্রহণ করেন নাদাল৷ জিম কুরিয়ার ২০ বছর আগে আন্দ্রে আগাসিকে হারিয়ে ফরাসি ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন৷ জয়ের পর আবেগময় মন্তব্য উচ্ছ্বসিত নাদালের, ‘‘রোল্যান্ড গ্যারোসে আবারও জয় পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত৷ এই জয়ের পর এ বছর সম্ভবত একটু কম চাপেই বাকি খেলা শেষ করতে পারবো৷ আসলে এটা আমার কাছে টেনিস প্রতিযোগিতার চেয়েও বেশি কিছু৷ আমি সন্তুষ্ট এবং সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে৷ কারণ এর মধ্য দিয়ে আমার সবচেয়ে বড়মাপের স্বপ্নগুলোর একটি পূরণ হলো৷ আমরা একটা দারুণ ম্যাচ খেলেছি আজ৷ রজারও খুব চমৎকার খেলেছে৷''
ম্যাচ হেরে হতাশ হলেও নাদালের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি ফেদেরার৷ বললেন, ‘‘রাফা আবারও প্রমাণ করেছে যে, এই মাঠে সেই সেরা৷ আমি হেরে যাওয়ায় দুঃখিত কিন্তু আমি ভালোই খেলেছি৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী