1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব নেতাদের কাছে আশ্রয়ের আবেদন আসিয়া বিবি'র স্বামীর

৫ নভেম্বর ২০১৮

সম্প্রতি ব্লাসফেমি আইনে মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে রেহাই পাওয়া পাকিস্তানের খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবি'র স্বামী বিশ্বনেতাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তাঁরা নিরাপদে দেশ ছেড়ে বিদেশে আশ্রয় নিতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/37fTq
Pakistan |  Ashiq Masih
ছবি: Getty Images/AFP/B. Stansall

বুধবারের ঐ ঐতিহাসিক রায়ের পরও আসিয়া বিবি এখনো বন্দি৷ নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়নি৷ তাঁর স্বামী আশিক মাসিহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো'র কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে নিরাপদে তাঁর পরিবারকে বের করে নিয়ে তাঁদের দেশে আশ্রয় দেন৷

আসিয়া বিবি'র রায়ের পর কট্টরপন্থি দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক রাস্তায় অবস্থান নিয়েপ্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে  তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি চুক্তি করার আবহ্বান জানিয়েছে৷ এই চুক্তির আওতায় আসিয়া বিবির রায়ের আবেদন বাতিল করে তাঁর বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে৷ ব্রিটিশ পাকিস্তানি খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনে পাঠানো একটি ভিডিও রেকর্ডে মাসিহ বলেছেন, ‘‘আমি যুক্তরাষ্ট্র এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করছি, আমাদের পাকিস্তান থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে যাওয়া হোক৷ একই আবেদন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রীকেও জানাচ্ছি৷ এছাড়া আসিয়ার ভাই জোসেফ নাদিমের পক্ষ থেকেও সাহায্য চাচ্ছি, কেননা, তিনি এই মামলায় অনেক সাহায্য করেছেন৷'' ডয়চে ভেলের ইসলামাবাদ প্রতিনিধি হারুন জানজুয়াও  মাসিহ'র একই ধরনের একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন ডয়চে ভেলেকে৷

জনরোষের হাত থেকে রেহাই পেতে শনিবার পাকিস্তান থেকে ইউরোপের একটি দেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আসিয়া বিবি'র আইনজীবী সাইফুল মুলুক৷

শনিবার ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আসিয়া বিবি'র স্বামী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং কট্টরপন্থি দলের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টির ব্যাপক সমালোচনা করেন৷ ‘‘এটা একটি ভয়াবহ চুক্তি৷ আমার পরিবার আতঙ্কে আছে, আমার আত্মীয়রা আতঙ্কে আছে, বন্ধু-বান্ধবরাও ভয়ে আছে৷ যে তিন বিচারক এই রায় দিয়েছেন, তাঁদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে তাঁরা এই রায় দিয়েছেন৷''

তিনি আরো জানান, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব ভীতিকর৷ আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই৷ আমরা একেকদিন একেক জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি৷''

২০০৯ সালের জুন মাসে লাহোরের কাছে শেখুপুরা এলাকায় ফল পাড়তে গিয়ে অন্য নারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চার সন্তানেরজননী আসিয়া বিবি মহানবীকে(সাঃ) নিয়ে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে৷ ব্লাসফেমি আইনে ২০১০ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷৷ গত আট বছর ধরে কারাভোগ করছেন তিনি৷ ৩১ শে অক্টোবর আসিয়া বিবিকে বেকসুর খালাস দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট৷

শামিল শামস/এপিবি