পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের আগুন
১ নভেম্বর ২০১৮ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ডাদেশ খারিজ হওয়ায় বর্তমানে পাকিস্তানে বিক্ষোভের পরিবেশ৷ রায় ঘোষণার আগে, কট্টরপন্থি মৌলভী খাদিম হুসেইন রিজভি রাস্তায় নেমে মানুষকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বর্তমান আইনে ব্লাসফেমির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড৷
ইতিমধ্যে করাচি-সহ পাকিস্তানের অন্যান্য শহরে সরকারি অফিসগুলোর নিরাপত্তার জন্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী৷ বন্ধ বেসরকারি স্কুলগুলো৷ কট্টরপন্থি সংগঠন তেহরিক-ই-লাবাইকের সমর্থকরা রাজধানী ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোরের মধ্যে সংযোগকারী বেশির ভাগ সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে৷ শুধু তাই নয়, তেহরিক-ই-লাবাইকের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আফজল কাদরি ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারককে হত্যা করার৷ এই বিচারকরাই আসিয়া বিবিকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন৷
তেহরিক-ই-লাবাইকের মুখপাত্র পির এজাজ শাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মরে গেলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসব না৷’’
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যাঁর পদত্যাগের দাবিও তুলেছে এই সংগঠন৷ তিনি এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা যান চলাচলে বিঘ্ন আমরা ঘটতে দেব না৷’’ তেহরিক-ই-লাবাইকের প্রতি তাঁর সাবধান-বাণী, ‘রাষ্ট্রের ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে তার ফলও ভোগ করতে হবে৷’
অন্যদিকে আরেকটি কট্টরপন্থি সংগঠন, মিল্লি ইয়াকজেহতি কাউন্সিলের সদস্যরা আসিয়া বিবির মামলার রায় ও প্রতিবাদের ধরণ নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে৷ কিন্তু আসিয়ার ভাই জানিয়েছেন, আসিয়া খুব শিগগিরই দেশের বাইরে চলে যাবেন৷ কিন্তু ঠিক কোথায় যাবেন আসিয়া, তা নিরাপত্তার খাতিরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানাননি৷ ইতিমধ্যে ফ্রান্স ও স্পেন আসিয়াকে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷
এসএস/এপিবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)