বিমান দুর্ঘটনা
৩ নভেম্বর ২০১৫শনিবার বিমান দুর্ঘটনার পরপর আইএস-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মিশরীয় গোষ্ঠী ‘সিনাই প্রভিন্স' জানায় যে, তারাই বিমানটি ভূপতিত করেছে৷ কিন্তু এই দাবি বাস্তবায়নের সামর্থ্য আইএস-এর আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া ও মিশর৷ যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনার পেছনে সন্ত্রাসী হামলার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ তবে হামলার পেছনে আইএস-এর হাত থাকার সম্ভাবনার বিষয়টি তিনি উড়িয়ে দেননি৷
মিশরের প্রেসিডেন্ট আইএস-এর দাবিকে ‘প্রপাগান্ডা' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
মঙ্গলবার বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স' থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে৷ সেখান থেকে দুর্ঘটনার কারণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
দুর্ঘটনার কারণ বের হতে যত সময় লাগবে আইএস-এর জন্য সেটা ততই ভালো হবে বলে মনে করেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ৷ ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স'-এর অধ্যাপক ফাওয়াজ জর্জস মনে করেন, হামলার দায় স্বীকার করে আইএস লাভবান হয়েছে৷
কারণ সাময়িকভাবে হলেও এর মাধ্যমে আইএস-এর নাম আলোচনায় উঠে এসেছে৷ জঙ্গি গোষ্ঠীটি তার সমর্থকদের বোঝাতে পারছে যে, রাশিয়ার প্রতি প্রতিহিংসামূলক হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য তাদের আছে৷ ‘‘দুর্ঘটনার আসল কারণ বের হতে যত সময় লাগবে আইএস-এর জন্য সেটা ততই ভাল হবে'', বলেও জানান অধ্যাপক জর্জস৷
লন্ডনের রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের আরব অ্যাফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ এইচএ হেলারও মনে করেন, দায় স্বীকার করে আইএস-এর সাময়িক জয় হয়েছে, কারণ তারা নিজেদের নাম আলোচনায় আনতে পেরেছে৷
এদিকে ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ বলেন, যেসব টুইটার অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইট থেকে আইএস-এর দায় স্বীকারের বার্তা এসেছে সেগুলো থেকে আগে কোনো মিথ্যা দাবি করা হয়নি৷ তাই আইএস-এর দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য' বলে মনে করেন তিনি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)