এমএইচ১৭ বিপর্যয়ের ফাইনাল রিপোর্ট
১৩ অক্টোবর ২০১৫
ডাচ সেফটি বোর্ডের চেয়ারম্যান টিবে ইয়োউস্ত্রা খিলসে-রাইয়েন সামরিক বিমানঘাঁটিতে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘ককপিটের বাঁ দিকে, বিমানের বাইরে একটি রকেটবাহী ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার ফলে এমএইচ১৭ উড়ালটি ভূপাতিত হয়৷’’
ইয়োউস্ত্রা আরো বলেন, ‘‘এই ‘ওয়ারহেড’ ‘বুক’ মাটি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রণালীর সঙ্গে মিলে যায়৷’’ তিনি একাধিক বার বলেন যে, তদন্তকারীরা ক্ষেপণাস্ত্রটির লঞ্চ সাইট বা নিক্ষেপের স্থান অবস্থান নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করতে পারেননি৷ তবে রিপোর্টারদের যে সব ম্যাপ দেখানো হয়েছে, তা-তে দোনেৎস্ক-এর কাছে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকৃত রাজ্যাঞ্চল পরিষ্কারভাবে নির্দেশ করা হয়েছে৷
‘বুক’ মিসাইল নির্মাতা রাশিয়ার আলমাজ-আন্তাই কোম্পানি এ দিন সকালেই একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকে তাদের নিজস্ব তদন্তের ফলাফল পেশ করে৷ তাদের মতে মিসাইলটি বিমানটিকে সামনের দিক থেকে আঘাত করেছিল৷ এছাড়া যে মিসাইলটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা পুরনো মডেলের৷
অর্থাৎ বিতর্ক চলবে, আগে থেকেই যা প্রত্যাশা করা হচ্ছিল৷ রিপোর্ট বেরনোর কয়েক ঘণ্টা আগেই টুইট করেছিলেন স্টিভ রোজেনবার্গ৷ লিখেছিলেন, ‘‘এমএইচ১৭ সম্পর্কে আজ আমরা দু’টো রিপোর্ট শুনব: একটি হল্যান্ড থেকে, আরেকটি রাশিয়া থেকে৷ কিন্তু কে বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে, তা নিয়ে রাশিয়া এবং পশ্চিমি দুনিয়ার মধ্যে মতানৈক্য চলবে৷’’
হাওয়ার্ড আমোস টুইট করেছেন, ‘‘নানা ধরনের লাল লাইন আর অ্যারো দিয়ে আলমাজ-আন্তাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, বুক রকেটটি সামনে থেকে এমএইচ১৭ উড়ালটিতে ধাক্কা মারে৷’’
ডাচ সেফটি বোর্ডের রিপোর্ট যে দু’পক্ষের পারস্পরিক সন্দেহ ও দোষারোপকে থামাতে পারবে না, তা আগে থেকেই আন্দাজ করা গেছিল৷ জেরাল্ড হেনজেল টুইট করেছিলেন, ‘‘রাশিয়ান ট্রল ফ্যাকট্রিরা জেগে ওঠো৷ আজ এমএইচ১৭ সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ হবে৷ কাজেই এখন আরো কিছু উদ্ভটে ষড়যন্ত্রের থিওরি ভেবে বার করার সময় এসেছে...৷’’
জুলিয়া ডেভিস টুইট করেছিলেন, ‘‘এমএইচ১৭ রিপোর্ট বের হওয়ার আগে থেকেই রুশ সংবাদমাধ্যম তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেছিল৷ এ থেকেই বোঝা যায়৷ যদি তোমার দোষ থাকে তো হাত তোলো!’’
এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)
রিপোর্ট সংক্রান্ত ভিডিও-টা দেখলেন? মন্তব্য করুন নীচের ঘরে৷