1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলেই মৃত্যুদণ্ড হতে পারে৷ অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা নতুন এক আইনে এমনটাই প্রস্তাব করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা সেটি অনুমোদন করেছে৷

https://p.dw.com/p/2XWr5
Biman Bangladesh Airlines ARCHIVBILD
ছবি: picture alliance/Asian News Network

প্রস্তাবিত ‘বেসামরিক বিমান চলাচল আইন ২০১৭' এখন সংসদে আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে৷ বাংলাদেশে কয়েক দশকের পুরনো বিমান চলাচল আইনের হালনাগাদ সংস্করণ হবে এটি৷

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, যাত্রীবাহী বিমানের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে  বা ঘটতে পারে এমন কিছু করলে, যাতে যাত্রীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷

আলম জানান, প্রস্তাবিত আইনে ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড হতে পারে৷

বেসরকারি বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানিয়েছেন, বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর মধ্যে বিমান ছিনতাই কিংবা ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে অন্য কোনোভাবে বিমান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত৷

এছাড়া লাইট সিগনালের অপব্যবহারও গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে, যার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ লাখ টাকা বা উভয় দণ্ড হতে পারে৷ আর কোনো যাত্রী যদি আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংগঠনের বিবেচনায় অবৈধ কোনো পদার্থ নিয়ে বিমানে প্রবেশ করেন, তাহলে শাস্তি হতে পারে সাত বছরের কারাদণ্ড৷

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী একটি বিমানের ফুয়েল ট্যাংকারের নাট বোল্ট ঢিলা অবস্থায় পাওয়া যায়৷ বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ছিল, কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে৷ আর সেই ঘটনার পর বিমান চলাচলে নিরাপত্তার বিষয়টি আবারো আলোচনায় আসে৷

এআই / এসিবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান