1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ জুন ২০১৪

হবিগঞ্জের বনাঞ্চল থেকে দু'শ রকেট লঞ্চারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র‌্যাব৷ বাংকার থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়৷ ধারণা করা হচ্ছে এগুলো ‘অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স' এটিটিএফ এর৷

https://p.dw.com/p/1CB5b
Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
ছবি: Getty Images/AFP

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি বনাঞ্চলে র‌্যাবের একটি দল মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করে৷

সেখানে বনাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা অংশে পাঁচটি বাংকারের খোঁজ পায় তাঁরা৷ এর মধ্যে একটি বাংকার থেকে দুই শতাধিক রকেট লঞ্চার, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়৷ এগুলো বাংকারের ভেতরে ৫০ থেকে ১০০ ফুট গভীরে ছিল৷

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘অভিযানে দু'শরও বেশি ছোট রকেট লঞ্চার ছাড়াও উডেন গ্রেনেড ও বিস্ফোরকসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ এগুলোর গণনা শেষ করতে সময় লাগবে৷ গত দু'দিন ধরে অভিযান চালানোর পর এই অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়৷ অভিযান অব্যাহত আছে৷'' তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতারের খবর তিনি দেননি৷ এছাড়া কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্রের মজুদ করেছিল তা জানা যায়নি৷

ব়্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং এর পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান জানান, ‘‘স্থানীয়ভাবে গণনা শেষ করার পর সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে৷''

জানা গেছে সীমান্ত ঘেঁষে থাকা বিপরীত পাশের বনে এক সময় এটিটিএফ এর সদর দফতর ছিল৷ এই সংগঠনের সদস্যরা সাতছড়ি এলাকায় অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করত৷ ২০১৩ সালের জুনে বাংলাদেশ এটিটিএফ এর প্রধান রঞ্জিত দেববর্মনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার পর সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়ে৷

র‌্যাব জানায় ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের পর এটিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান আটকের ঘটনা৷

জানা গেছে র‌্যাব অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই অভিযান পরিচালনা করে৷ বিকেলে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, অভিযানের বিষয়টি র‌্যাবের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য