1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিটলসদের সেক্রেটারি

১১ মার্চ ২০১৩

মহিলার নাম ফ্রেডা কেলি৷ বয়স এখন সত্তর ছুঁই-ছুঁই৷ আজও সেক্রেটারির কাজ করেন লিভারপুলেরই এক উকিলের অফিসে৷ কিন্তু এককালে তিনি খোদ ফ্যাব ফোরের সেক্রেটারি ছিলেন, গোটা দশ বছর ধরে৷

https://p.dw.com/p/17ups
ছবি: picture-alliance/dpa

ফ্রেডা কেলি'কে স্মরণ করার কারণ, তাঁকে নিয়ে একটি নতুন তথ্যচিত্র বেরিয়েছে, ‘‘গুড ওল' ফ্রেডা৷'' ছবির মোহরত ছিল গত শনিবার যুক্তরাজ্যের অস্টিনে একটি চলচ্চিত্র উৎসবে৷

ফ্রেডা সম্পর্কে প্রথমেই বলা দরকার, তিনি ছিলেন বিটলসদের সবচেয়ে পুরনো ও বেশিদিনের কর্মচারীদের মধ্যে গণ্য৷ দশ বছরের বেশি সময় ধরে বিটলসদের হয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু কোনোদিনই সে বিষয়ে জনসমক্ষে মুখ খোলেননি৷

ওদিকে তথ্যচিত্রটির পরিচালক রায়ান হোয়াইট লস অ্যাঞ্জেলেসের মানুষ৷ বয়সও বেশি নয়, মাত্র ৩১৷ উভয়ের এক পারিবারিক বন্ধু হোয়াইটকে কেলির কথা বলেন: কেলি কীভাবে বিটলসদের সেক্রেটারি এবং একই সঙ্গে তাদের ফ্যান ক্লাবের প্রধান ছিলেন৷ কীভাবে তাঁকে বিটলসদের সঙ্গে চুল কাটানোর সেলুনে যেতে হতো, এবং মাটি থেকে সেই কাটা চুল কুড়িয়ে মহিলা ফ্যানদের কাছে পাঠাতে হতো৷

50 Jahre Beatles
১৯৬৭ সালে বিটলসছবি: Getty Images

এ' যেন সিন্ডারেলার কাহিনি৷ মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফ্রেডা কাজ শুরু করেন বিটলসদের সেক্রেটারি হিসেবে৷ এবং আজও তিনি বিটলসদের প্রতি বিশ্বস্ত, তাদের হাঁড়ির খবর তিনি এই তথ্যচিত্রেও ফাঁস করতে চাননি৷ এমনকি তাঁর পরিবারের লোকজনকেও সে সব কাহিনি শোনাননি ফ্রেডা৷ এবার নাকি তাঁর দু'বছর বয়সী নাতির জন্য এই তথ্যচিত্রে কিছু কিছু মজার কাহিনি বিধৃত করেছেন৷

‘‘আমি নিজেও ফ্যান ছিলাম''

বিটলসদের বুকিং, অন্যান্য কর্মচারীদের মাইনের চেক কাটা, এ'সব কাজই শুধু নয়৷ মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে ফ্যানদের চিঠির উত্তর দিতেন ফ্রেডা৷ ষাটের দশকে বিটলম্যানিয়া যখন চরমে, তখন দিনে দু'হাজার থেকে তিন হাজার চিঠি আসতো বিটলস ফ্যানদের কাছ থেকে৷

তবে ফ্রেডা তাঁর নিজের মূল্য সম্পর্কেও পুরোমাত্রায় সচেতন ছিলেন৷ ১৯৬৩ সালের বড়দিনে করা বিটলসদের একটি রেকর্ডিং'এ শোনা যায়, জর্জ হ্যারিসন লিভারপুলে ফ্রেডা'কে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন আর বাকি বিটলসরা চিৎকার করে সায় দিচ্ছে, ‘‘গুড ওল' ফ্রেডা!'' যা থেকে তথ্যচিত্রের নামকরণ৷

একবার বিটলসদের একটি শো'তে ফ্রেডা দেরি করে পৌঁছন কেননা তিনি গোড়ার দিকের ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলাপনে ব্যস্ত ছিলেন৷ জন লেনন খেপে-মেপে ফ্রেডাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করেন বটে, কিন্তু পরে সেই লেনন'কেই নতজানু হয়ে ফ্রেডাকে চাকরি না ছাড়ার অনুরোধ করতে হয়৷

ফ্রেডাকে নিয়ে এই তথ্যচিত্রে বিটলসদের চারটি গান পর্যন্ত আছে, যা বাজাবার অনুমতি সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রযোজককে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে৷ বিটলসদের অনেক দুষ্প্রাপ্য, অদেখা ছবি আছে৷ তবে ছবির উপজীব্য ঠিক বিটলসরাও নয়৷ এ' যেন লিভারপুলের সেই আশ্চর্য দশকটি একটি সাধারণ মেয়ের জীবনে কীভাবে রূপকথার আকার ধারণ করে এসেছিল, সেই কাহিনি৷

এসি / এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য