বিজ্ঞান জানে, মানেন না ট্রাম্প
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরিবেশ রক্ষা এখন অন্যতম বিষয় হয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন, ওয়াশিংটনের বিশাল বনভূমি আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেছে। ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়া সফরে গেছিলেন। সেখানে রাজ্য প্রশাসনের মত হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণায়ন হয়েছে। তারই ফলে জঙ্গলের আগুন এই রকম চেহারা নিয়েছে।
কিন্তু ট্রাম্প তা খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ''আপনারা দেখবেন। পরিবেশ অনেক ঠান্ডা হয়ে যাবে।'' মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, আসলে ওই জঙ্গলের ঠিকমতো দেখভাল হয়নি। আগুনের কথা মাথায় রাখা হয়নি। দোষটা আসলে রাজ্য প্রশাসনের। এমনকী তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ''আমি মনে করি না, বিজ্ঞান জানে।''
কিন্তু ট্রাম্পের এই কথায় বিতর্ক আরো বেড়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের জন্যই এই হাল। তিনি পরিবেশরক্ষার জন্য কিছুই করেননি। তিনি তো পরিবেশে আগুন লাগানোর কাজ করছেন।
অ্যামেরিকা জুড়ে এখন এই আগুন ও পরিবেশরক্ষা নিয়ে বিতর্ক জোরদার হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাচরাল রিসোর্স এজেন্সির প্রধান ওয়েড কাউফুট বলেছেন, ''ট্রাম্প দয়া করে জঙ্গলে ঠিকঠাক ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কথাটা মেনে নিন। বিজ্ঞানকে মেনে নেয়া জরুরি। বিজ্ঞান মানলে ট্রাম্পের কথা মানা যায় না।''
এর জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ''আমি মনে করি না বিজ্ঞান জানে।''
জো বাইডেনের জবাব, ''আমাদের এমন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি বিজ্ঞান মেনে চলবেন। তিনি পরিবেশ রক্ষা করার জন্য কাজ করবেন। না হলে আরো বড় ক্ষতির মুখে পড়ব আমরা। বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।''
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসমের মত হলো, ''জঙ্গল ম্যানেজমেন্টের প্রশ্ন আছে, কিন্তু তার থেকে অনেক বড় বিষয় হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এটা অনেক বড় কারণ। গরম জায়গাগুলো আরো গরম হচ্ছে। শুকনো এলাকা আরো শুকনো হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন আসল ও প্রধান সমস্যা।''
এই আগুনে পাঁচ লাখ হেক্টর জমির গাছপালা, ঘাস পুড়ো ছাই হয়ে গেছে। ৩৫ জন মারা গেছেন। হাজার হাজার মানুষের বাড়ি পুড়ে গেছে।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)