1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বনধ, অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ

৩ মে ২০২৩

বিজেপি-র ডাকা পূর্ব মেদিনীপুর বনধ নিয়ে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ময়নাসহ নানা এলাকা।

https://p.dw.com/p/4QpUK
বিজেপি-র ডাকা পূর্ব মেদিনীপুর বনধের মোকাবিলায় ছিল প্রচুর পুলিশ। ফাইল ছবি।
বিজেপি-র ডাকা পূর্ব মেদিনীপুর বনধের মোকাবিলায় ছিল প্রচুর পুলিশ। ফাইল ছবি। ছবি: Satyajit Shaw/DW

বিজেপির স্থানীয় নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুইঞাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে খুন করার প্রতিবাদে ময়না-সহ পূর্ব মেদিনীপুরে বনধের ডাক দিয়েছিলেন বিরোধীনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বনধ নিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ময়না।

বুধবার ময়না এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করা হয়ে, দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়, পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকারীদের ঝামেলাও চলতে থাকে।  পুলিশ অনেক জায়গায় লাঠি চালিয়েছে।

সাকল থেকে ময়নার তিন মাথার মোড় অবরোধ করে বিজেপি-র  কর্মী ও সমর্থকরা। প্রচুর গাড়ি, বাস ও অন্য যানবাহন আটকা পড়ে যায়। পুলিশ সেই অবরোধ জোর করে তুলে দিতে যায়। তখন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা সেখানে উপস্থিত হন, তার সঙ্গে পুলিশের ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশের অনুরোধ না মেনে তিনিও সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশ বলে, এভাবে মানুষকে অসুবিধার মধ্য়ে ফেলবেন না। দিন্দা বলেন, বিজেপি কর্মী যে খথুন হলেন, সেটা তো দেখছেন না। পুলিসের বক্তব্য, বিষয়টি তারা দেখছেন। দিন্দা জানান, সে তো দেখাই যাচ্ছে। একজনকেও ধরা হলো না।

এরপর জেলা সদর থেকে পুলিশের আরো দল ময়না আসে। অনেক রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে  তাদের ঝগড়া হয়। অনেক জায়গায় লাঠি চালায় পুলিশ।

বেলা ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের একশটি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন এবং টায়ার জ্বালান বিজেপি কর্মীরা। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ বনধ সমর্থকদের উপর লাঠি চালায়। ময়না বাজারের দরজাও বনধ সমর্থকরা বন্ধ করে দেয়। বিডিও অফিসারদের গেট বন্ধ করে দেয়। বিধায়ক-সহ কর্মীরা বাইকে করে বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে তা বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন।

বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, জরুরি সব পরিষেবার গাড়ি তারা যেতে দিচ্ছেন। শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালন করছেন। তাহলে তাদের কেন জোর করে উঠিয়ে দেয়া হবে।

বিজেপি নেতারা বলেছেন, দুই দিন কেটে যাওয়ার পরেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হলো না? মৃত বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী লক্ষ্মী ভুইঞা  থানায় ৩৪ জনের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন। কারো বিরুদ্ধেই পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

লক্ষ্মী জানিয়েছেন, পুলিশের তদন্তে তার কোনো আস্থা নেই। তিনি সিবিআই তদন্ত চান। না হলে অপরাধীরা ধরা পড়বে না বলে তাঁর মত। কলকাতা হাইকোর্ট  নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত চার সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজয়কৃষ্ণের পরিবারকে সুরক্ষা দেবে।

হাইকোর্টের নির্দেশ

কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিজয়কৃষ্ণের দেহে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হবে।  এর জন্য কম্য়ান্ড হাসপাতাল বিশেষ দল গঠন করেছে। সেখানে রাজ্য সরকারের দুই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞও থাকতে পারবেন। পরিবারও চাইলে সেখানে থাকতে পারবে। তারপর পরিবারকে দেহ দেখিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।

সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট হাইকোর্টকে দিতে হবে।

এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে, গুলিতেই বিজয়কৃষ্ণের মৃত্যু হয়েছে।

তৃণমূলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমেন মহাপাত্র দাবি করেছেন, বিজয়কৃষ্ণের মৃত্যুর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। আর শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্য বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূলের গুণ্ডা ও কর্মীরা বিজয়কৃষ্ণকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। তারা বউ ও মেয়ের সামনে থেকে তারা বিজয়কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে যায়। ফলে তৃণমূল কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না।

জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, এএনআই, এবিপি আনন্দ)