বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পক্ষে জার্মানি
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬বার্লিনে হামলার পর জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে ভিডিও নজরদারি বাড়াতে প্রয়োজনীয় আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ ইউগভ-এর জরিপে দেখা যাচ্ছে, এতে সায় আছে সাধারণ জনতার৷ এমনকি জরিপে অংশ নেয়াদের ৭৩ শতাংশ বড় পুলিশ বাহিনী গড়ার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে টিউনিশিয়ার নাগরিক আনিস আমরি বার্লিনের একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ট্রাক ঢুকিয়ে দিয়ে ১২জনেক হত্যা এবং প্রায় ৫০ জনকে আহত করে৷ এরপর ইটালি পালিয়ে গেলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় নিহত হয় সে৷ হামলার সময় ক্রিসমাস মার্কেটটিতে পুলিশের কোনো ভিডিও ক্যামেরা ছিল না৷ এই ঘটনার কয়েকদিন পর ইউগভ জরিপটি পরিচালনা করে জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ৷
বার্লিন হামলায় আমরির সম্পৃক্ততা শুরুর দিকে ধরা পড়েনি৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্যামেরা থাকলে সন্দেহভাজন শুরুতে নজর এড়িয়ে যেতে পারতো না৷ বরং হামলার পরপরই পাকিস্তানি এক শরণার্থীকে হামলাকারী হিসেবে সন্দেহ করে আটক করে পুলিশ৷ তিনি হামলার সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে ছিলেন এবং সেখান থেকে যখন অন্যত্র চলে যান, তখন সেখানে থাকা আরেক ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করেন৷
রবিবার পরিচালিত জরিপের আগেই অবশ্য জার্মান মন্ত্রীপরিষদ একটি খসড়া বিল অনুমোদন দিয়েছে যা পাবলিক প্লেসে আরো বেশি পুলিশের নজরদারি সম্ভব করতে পারে৷ তবে বার্লিনের স্থানীয় সরকার এই বিলের বিরোধীতা করেছে৷ প্রস্তাবিত বিল জার্মানির কঠোর ‘প্রাইভেসি' আইনের সঙ্গে কিছুক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক৷
সন্ত্রাসী হামলার সময় প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীকে (বুন্ডেসভার) কাজে লাগানোর পক্ষে মত দিয়েছেন ইউগভ জরিপে অংশ নেয়া প্রতি দু'জনের একজন৷ বর্তমানে পুলিশ প্রয়োজনে ‘ব্যাকআপ' হিসেবে সামরিক বাহিনীকে তলবের নিয়ম থাকলেও তাদের ভূমিকা ঠিক কী হবে তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ নেই৷ আগামী মার্চ মাসে বুন্ডেসভার এবং পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে৷
এআই/ডিজি (ডিপিএ)