পার্সেল পৌঁছে দেবে ড্রোন
৩ ডিসেম্বর ২০১৩পরিষেবার নাম রাখা হয়েছে ‘প্রাইম এয়ার'৷ অ্যামাজন কোম্পানি এর মাধ্যমে অর্ডার দেয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে দোরগোড়ায় পার্সেল পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করছে৷ তবে সেই পার্সেল বেশি ভারি হলে চলবে না৷ ২ কিলোর সামান্য বেশি ওজন বয়ে আনতে পারবে ‘অক্টোপিটার' নামের মিনি ড্রোন৷ দেখতে অনেকটা কম্পিউটারের ফ্ল্যাটস্ক্রিন মনিটরের মতো৷ ওড়ার জন্য হেলিকপ্টারের মতো মোট ৮টা প্রপেলর রয়েছে৷ আর দাঁড়ানোর জন্য আছে ৪টি পা৷ অ্যামাজনের গুদামে তা প্রস্তুত থাকবে৷
গ্রাহক অর্ডার দিয়ে দাম মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে ‘অক্টোপিটার' তা ঘাড়ে নিয়ে আকাশে উড়বে৷ প্রাপকের ঠিকানা নয়, তার বাড়ির অবস্থান জেনে নিয়ে জিপিএস-এর ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ঠিকানায় সেটি পৌঁছে দিয়ে আবার তার ঘাঁটিতে ফিরে আসবে৷ তবে বেশি দূরে যাবার ক্ষমতা নেই এই যন্ত্রের৷ তার পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বড়জোর ১৬ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে৷ ফেরার জন্যও তো শক্তি রাখতে হবে!
বলা বাহুল্য, আপাতত অ্যামেরিকায় পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে এমন প্রচেষ্টা চলছে৷ অ্যামাজন কোম্পানির প্রধান জেফ বেজোস এই প্রযুক্তির সপক্ষে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন৷ প্রথমত ট্রাকে করে ডেলিভারির ফলে যে জ্বালানি ব্যয় হয়, তার তুলনায় এই ড্রোনের চাহিদা অনেক কম৷ তাছাড়া ড্রোনের মধ্যে বাড়তি মোটর থাকায় ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও নেই বলে তিনি দাবি করেছেন৷
এমন অভিনব পরিষেবা চালু করতে হলে কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু অনুমতির প্রয়োজন৷ কোম্পানির আশা, ২০১৫ সালেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ‘প্রাইম এয়ার' পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে৷ মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ধারণা, আগামী ৫ বছরেই অ্যামেরিকার আকাশে প্রায় ৭,৫০০ চালকবিহীন বিমান চলাচল শুরু হবে৷
অ্যামাজন সত্যি এমন পথ দেখাতে পারলে ড্রোন পরিষেবা আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তখন পাড়ার মুদির দোকান বা পিৎসা-র দোকানও ড্রোনের সাহায্যে ক্রেতার বাড়িতে জিনিসপত্র পাঠাতে শুরু করতে পারে৷
এসবি / জেডএইচ (এএফপি)