1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশইন্দোনেশিয়া

বালির পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ

৩ অক্টোবর ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়৷ এবার সেখানকার পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগে পর্যটনকে কাজে লাগানোর একাধিক উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতাও বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/4lNDk
বালিতে পরিবেশ বাঁচাতে প্রকল্প
বালি দ্বীপের উত্তরে জেলেরা যে প্রবাল প্রাচীর ধ্বংস করেছিলেন, সেগুলো পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছেছবি: Georg Matthes/DW

বালির সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্যে তিন জেলে মিলে প্রতি মাসে আট টনেরও বেশি ভারি আবর্জনা উদ্ধার করেন৷ সেগুলি তাঁদের কাঁকড়া ধরার ফাঁদের জন্য বড় সমস্যা৷

ইকোসিস্টেম আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রোপণ করা ম্যানগ্রোভের জন্যও এই আবর্জনা হুমকি হয়ে উঠছে৷ বাটু লুম্বাং ম্যানগ্রোভ ইকোটুরিজম ম্যানেজমেন্টের প্রধান ওয়াইয়ান পাসোক পাস্তিকা বলেন, ‘‘বৃক্ষরোপণের এই পদ্ধতিকে কেজড ম্যানগ্রোভ রেস্টোরেশন বলা হয়৷ ফ্রন্ট জোনে আমরা যে ম্যানগ্রোভের চারা লাগাই, তার জন্য এটা প্রয়োজনীয়৷ আমরা ভূমি কিছুটা উপরে তুলে জাল দিয়ে চারাগাছ রক্ষা করি৷ গাছে ও স্রোতের মধ্যে প্লাস্টিক আবর্জনা আটকানো বন্ধ করে সেগুলি  তুলে নেওয়াই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷''

বালির পর্যটন ট্যাক্সে পরিবেশ সংরক্ষণ

পর্যটকদের ম্যানগ্রোভ দেখাতে গাইডসহ ভ্রমণের সুযোগ এই পুনর্গঠন প্রকল্পের অর্থায়নে সাহায্য করে৷ চলতি বছর প্রাদেশিক সরকার যে ‘বালি টুরিস্ট ট্যাক্স' চালু করেছে, তা থেকে এমন প্রকল্পের জন্য বাড়তি অর্থ পাওয়া যায়৷ প্রত্যেক পর্যটক প্রবেশের সময় প্রায় দশ ইউরো কর দেন৷ সেই অর্থ পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত প্রকল্পে ব্যয় করা হয়৷

ওয়াইয়ান ওয়ার্ডিকা বালিতে ফায়ারফ্লাই-এর সংখ্যা আবার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন৷ ফায়ারফ্লাই সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াইয়ান ওয়ার্ডিকা বলেন, ‘‘আবাসন ও ভবনের জন্য যত বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগানো হয়, তার ফলে ফায়ারফ্লাইয়ের বসতির উপর তত চাপ সৃষ্টি হয়৷ ফলে তাদের জায়গা কমেই চলেছে৷ একমাত্র কৃষিজমিই এখন তাদের একমাত্র টিকে থাকার জায়গা৷ কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে ভালো প্রভাব নেই৷''

গোটা বালি দ্বীপ জুড়ে আরো বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে, যার ফলে আলোর দূষণও বাড়ছে৷ যে জীববিজ্ঞানীরা ফায়ারফ্লাই সংরক্ষণ প্রকল্পে কাজ করছেন, তাঁদের মতে এটাও একটা সমস্যা৷ জীববিজ্ঞানী মার্গারেটা নোভিয়ানি বলেন, ‘‘বেশিরভাগ চারণক্ষেত্র আর অন্ধকার নেই৷ ফলে পোকার মিলনের হার কমে যাচ্ছে৷ কারণ ফায়ারফ্লাই আলো ব্যবহার করে ভাবের আদানপ্রদান করে৷ পুরোপুরি অন্ধকার না থাকায় সেগুলি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে৷''

ভারতের দিল্লি থেকে আসা কয়েকজন পর্যটক এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েও ফায়ারফ্লাই বা জোনাকি পোকা দেখতে চান৷ তারা নৈশভোজ ও ফায়ারফ্লাই ট্যুরে অংশ নিচ্ছেন৷

পানির নীচেও পর্যটন ও সংরক্ষণ চলছে৷ দ্বীপের উত্তরে জেলেরা যে প্রবাল প্রাচীর ধ্বংস করেছিলেন, সেগুলি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ চলছে৷  বায়োরক নামের পদ্ধতি প্রয়োগ করে ও সৌর বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে বৈদ্যুতিক চার্জ প্রবালকীটের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে৷ ফলে সেগুলি পানি থেকে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করে শক্ত কোরাল সৃষ্টি করছে৷ তবে সেই উদ্যোগও যথেষ্ট নয়৷ নতুন প্রাচীরগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷ বায়োরক ম্যানেজার হিসেবে কোমাং আস্তিকা বলেন, ‘‘কোরাল পুনরুদ্ধার করতে হলে সেগুলির দেখাশোনার জন্য লোকের প্রয়োজন৷ যেমন আমাদের এমন ধরনের শিকারির খোঁজ করতে হবে৷ কমপক্ষে সপ্তাহে একবার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষা করতে হয়৷''

এদিকে ফায়ারফ্লাই ক্যাম্পে দর্শকরা পোকার খোঁজে ধানের ক্ষেতের দিকে চলেছেন৷ তবে বেশ অন্ধকার৷ বন্দি অবস্থায় বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে এই পোকার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷

গেয়র্গ মাটেস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান