বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে নতুন ধরনের নিরাপত্তা
২৩ নভেম্বর ২০১৮২০১৬ সালে বার্লিনের একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভয়াবহ ট্রাক হামলা হয়েছিল৷ ১২ জন নিহত হয়েছিলেন ওই হামলায়৷ এ কারণে সেসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে৷ এ বছর ক্রিসমাস মার্কেটে ঢোকার প্রতিটি প্রবেশমুখে থাকবে তল্লাশির ব্যবস্থা৷
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেট একদিকে যেমন নিজেদের সংস্কৃতি, সম্প্রদায় ও এলাকাভিত্তিক গৌরবের অংশ, তেমনি এই মার্কেট সব বয়সি মানুষকে তাদের শৈশবের আস্বাদ দেয়৷ আর এ কারণেই ২০১৬ সালের ঐ হামলা জার্মানদের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে৷
এ বছর প্রত্যেকটি শহরের পুলিশ বাহিনী সব ধরনের হামলা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থায় থাকবে৷ সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা থাকবে রাজধানী বার্লিনে৷ যে ক্রিসমাস মার্কেটে হামলা হয়েছিল, এবার সে এলাকাটির নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বালি ও পাথরের বস্তা এবং বাঁশের খুঁটি দিয়ে সব প্রবেশ পথে বিশেষ কাঠামো বানানো হয়েছে৷ ফলে একসাথে অনেক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না৷ যানবাহনও ঢুকতে পারবে না৷
মার্কেট যতক্ষণ খোলা থাকবে, ততক্ষণ টহল দেবে বিশেষ বাহিনী৷ ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে থাকবে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা৷ কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, এ বছর যেভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের হামলা মোকাবেলায় সহায়ক হবে৷ একটি ব্রিটিশ কোম্পানি ব্যারিকেড সরবরাহ করছে৷ ব্যারিকেডগুলো যে কোনো ধরনের সামরিক ইনস্টলেশন প্রতিরোধ করতে পারে এবং ক্রিসমাস মার্কেট শেষ হওয়ার পরও তা ব্যবহার করা যাবে৷
তবে স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, এত বেশি নিরাপত্তা ও তল্লাশি এবারের ক্রিসমাস মার্কেটের আনন্দ অনেকটাই কমিয়ে দেবে৷ অন্যদিকে, স্থানীয় গির্জার যাজক মার্টিন গ্রেমের মনে করেন, এ ধরণের নিরাপত্তার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে৷
আলিস্টায়ার ভাল্স/এপিবি