নতুন চমক ‘বড়দিনের বাড়ি’
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮প্রতি বছর এখানে কচিকাঁচাদের জন্য ক্রিসমাসের একটা বড় আকর্ষণ হল এই ‘ভাইনাক্ট্সহাউস’ বা ক্রিসমাস হাউস৷ বড়দিনের চার সপ্তাহ আগে জার্মানির সবচেয়ে বড় ‘বড়দিনের বাড়ি’-টিতে পাঁচ লাখ ত্রিশ হাজার বাতি জ্বলে ওঠে৷ নিম্ন স্যাক্সনির কালে শহরের এই বাড়িটির সম্ভবত গোটা ইউরোপে কোনো জুড়ি নেই৷
ছোট্ট, শান্ত কালে শহরে বড়দিনের এই ভোজবাজির উদ্যোক্তা রল্ফ ফোগ্ট, পেনশনভোগী, যার নেশা হল বড়দিনের আলোকসজ্জা৷ তিনি বলেন, ‘‘সব কিছু ঠিকঠাক হলে আমি আনন্দে হাততালি দিই৷ একটা আশ্চর্য আনন্দের অনুভূতি, বিশেষ করে যখন মানুষজন খুশি হয়ে ‘বাঃ, বাঃ' করে, তখন আমার দারুণ লাগে৷ সবচেয়ে খারাপ হল, যদি বৃষ্টি শুরু হয় আর আমি রিমোট কন্ট্রোলটা চালাতেই ফট্ করে একটা শব্দ হয় – আর সবাই ওখানে দাঁড়িয়ে বলে ‘যাঃ!'’’
তবে তা খুব বেশি একটা ঘটে না৷ এই সুবিশাল বড়দিনের বাড়িটির আলোকসজ্জার পিছনে গোটা ছয় মাসের কাজ রয়েছে৷ সেই আলোকসজ্জা কেমন হবে, তা ঠিক করেন রল্ফের গৃহিণী ন্যার্মিন৷ রল্ফ বলেন, ‘‘ভেতরের সব অলঙ্করণ আর সাজানো ও একা করে, অথবা কেমন হবে, তা ঠিক করে দেয়৷’’ ন্যার্মিন ফোগ্ট মনে করেন, ‘‘এই হাসিখুশি থেকে ও অনেক আনন্দ, অনেক শক্তি পায়, আমি জানি৷’’
বড়দিনের আলোকসজ্জার নকশা থেকে ইলেকট্রিকের কাজ, রল্ফ সবই করেন নিজের হাতে৷ ১৯৯৯ সালে ফোগ্ট দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন ছেলের কাছে৷ সেখানেই প্রথম বাড়িতে বাড়িতে বড়দিনের আলোকসজ্জা দেখেন রল্ফ ও ন্যার্মিন৷ জার্মানিতে তখন ব্যাপারটা প্রায় অপরিচিত ছিল৷ রল্ফ বলেন, ‘‘একটা বাড়ি আরেকটার চেয়ে সুন্দর! সামনের বাগানে আলোয় আঁকা সব চলন্ত হরিণ আর সন্ত নিকোলাস – এ সব দেখে আমরা ভাবলাম, দেশে ফিরে আমরাও তা করব, শুধু নিজেদের জন্য৷’’
সামান্য একটা খেয়াল থেকে যা জন্ম নিয়েছিল, আজ তা সারা জীবনের স্বপ্ন হয়ে উঠেছে৷ বড়দিনের বাড়ির সেই স্বপ্নের পিছনে রল্ফ ফোগ্ট এযাবৎ খরচ করেছেন প্রায় দেড় লাখ ইউরো৷
রেজিনা নিডেনৎসু/এসি