মধ্য ইউরোপের ছবি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩কম্যুনিজম যাওয়ার মানে রাষ্ট্রের তরফে অর্থায়ন বন্ধ৷ বড় বড় স্টুডিওগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ হলিউডের ছবি এসে ছবিঘরগুলো অধিকার করে বসে আছে৷ ‘‘এ'সব দেশে আমাদের (ফিল্ম তৈরির) একটা বিশেষ ইতিহাস আছে,'' বলেছেন ‘ইন দ্য নেম অফ' ছবির পোলিশ পরিচালক মাউগোস্কা জুমোভস্কা৷
পোল্যান্ডের একটি ছোট্ট গ্রামের এক সমকামী ক্যাথলিক যাজক'কে নিয়ে ছবি করাটা যে কত বড়ো সাহসের ব্যাপার, সেটা আজকের পোল্যান্ড ঘুরে এলেও বুঝতে পারা যায়৷ জুমোভস্কার ছবিটি দিয়েই শুক্রবার বার্লিনালের মূল প্রতিযোগিতার অংশটা শুরু হয়৷
‘‘এখনও সব কিছু নতুন, গণতন্ত্র পর্যন্ত৷ আমরা একটা বিশেষ সমাজ, সব কিছু খুবই গতিশীল,'' নিজের দেশ সম্পর্কে বলেছেন জুমোভস্কা৷ মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের সিনেমায় মহিলাদের উঠতি ও বাড়তি গুরুত্বের একটি প্রমাণ হলেন তিনি স্বয়ং৷
অন্যরাও আছেন৷ এমির বায়গাজিন'এর প্রথম কাহিনিচিত্র ‘‘হার্মনি লেসন্স'' হল কাজাকস্তানের প্রথম ফিল্ম, যা বার্লিনালের মুখ্য প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে৷ ১৩ বছরের এক কিশোরের চোখ দিয়ে কাজাখ জনজীবনের ক্রমবর্ধমান নির্মমতাকে তুলে ধরা হয়েছে৷
ক্যালিন পেটার নেটসার'এর ‘‘চাইল্ডস পোজ'' ছবিটি আবার প্রমাণ করল যে, রোমানিয়ার ফিল্মমেকাররা মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় ফিল্মের পুনর্জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন৷ দুর্নীতি রোমানিয়ার একটি মূল সমস্যা এবং সেটাই নেটসারের ছবির উপজীব্য৷ এক মা স্থানীয় কর্মকর্তাদের ঘুস দিয়ে তাঁর ছেলের জেলে যাওয়া রোখার চেষ্টা করছেন৷
রুশ পরিচালক বরিস খ্লেবনিকভ'এর ‘‘দীর্ঘ ও সুখী জীবন'' ছবিটিতে এক তরুণ উভয়সংকটে পড়েছেন: উত্তর রাশিয়ায় তিনি যে যৌথ খামারটি চালান, তার জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে৷
বসনিয়ার চিত্রপরিচালক ড্যানিস তানোভিচ'এর ‘‘এক লোহাকুড়ুনির জীবনের একটি ঘটনা'' ছবির বিষয় হল হালের ইউরোপে একটি জিপসি পরিবারের চরম দারিদ্র্য৷
ও হ্যাঁ, সস্তা, রোমাঞ্চকর শুটিং'এর লোকেশনের খোঁজে বাকি দুনিয়াও মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের সন্ধান পেয়েছে, এমনকি বলিউডও৷
এসি / এসবি (ডিপিএ)