বার্লিন প্রাচীর : বিভক্ত জার্মানির এক কুখ্যাত প্রতীক
১১ আগস্ট ২০১১‘আমি একবার শুধু ড্রেসডেনে গান গেতে চাই .....' ১৯৮৩ সালে এই অতৃপ্ত বাসনার গানটি গেয়েছিলেন বিখ্যাত জার্মান সংগীতকার রাইনার্ড মাই৷ সে সময় পূর্ব জার্মানিতে তাঁর একটি কনসার্ট কমিউনিস্ট সরকার নাকচ করে দেয়৷
বার্লিন প্রাচীর তৈরি হওয়ার পর, পুবের মানুষের কাছে সংগীতের মধ্য দিয়ে পৌঁছতে চেয়েছেন পশ্চিমের বহু শিল্পী৷ কিন্তু প্রায়ই পূর্ব জার্মানির শাসকগোষ্ঠি তাতে বাদ সাধে৷ জার্মানির জনপ্রিয় রক সংগীত তারকা উডো লিন্ডেনব্যার্গ অনুমতি না পেয়ে তৎকালীন পূর্ব জার্মান শীর্ষ নেতা এরিশ হনেকারকে উদ্দেশ্য করে রচনা করেন ‘জন্দার স্যুগ নাখ পাঙ্কো'৷ তিনি ঐ গানে বলেন, ‘‘হেই এরিশ, আমার প্রচুর বন্ধু রয়েছে পুবে৷ তুমি কি সত্যিই এতো একগুঁয়ে? শ্রমিক আর কৃষকের দেশে কেন তুমি আমাকে গান গাইতে দিচ্ছ না?...''
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর তদানিন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রভাব বিস্তার করে ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে৷ ১৯৬১ সালে এই বার্লিন প্রাচীরের হাত ধরেই শুরু হয় পূর্ব ও পশ্চিমি শক্তির মধ্যে শীতল যুদ্ধ৷ জার্মানি সহ বিশ্বের বহু সংগীত শিল্পী সহজ ভাবে নিতে পারেননি এই লৌহ যবনিকা৷ আশির দশকে বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ রক সংগীত তারকা স্টিং'এর ‘রাশান্স' গানে য ফুটে ওঠে গভীরভাবে৷
১৯৮৪ সালের গান ‘ক্রোসফায়ার'৷ এই গানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্য জার্মান সংগীত গোষ্ঠী ‘স্কোর্পিয়ন্স' শীতল যুদ্ধ সম্পর্কে উৎকন্ঠা প্রকাশ করে৷
২৮ বছর পর ১৯৮৯ সালে পূর্ব জার্মানির জনগণের শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ধ্বসে পড়ে বার্লিন প্রাচীর, পতন হয় শীতল যুদ্ধের৷ ‘স্কোর্পিয়ন্স' তার ব্যালাড আঙ্গিকের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাওয়া গান ‘উইন্ড ওফ চেইঞ্জ' দিয়ে সম্মান জানায় এই রাজনৈতিক পালাবদলকে৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ