যেভাবে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বসাবেন
১৮ মে ২০১৩তবে একটা কারণে এখনও অনেকে বায়োগ্যাসের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন না৷ সেটা হচ্ছে, তাদের ধারণা বায়োগ্যাস তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে যেহেতু গরুর গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, কচুরিপানা ইত্যাদি ব্যবহার হয়, তাই বায়োগ্যাস তৈরির সময় চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে৷
কিন্তু সেটা একেবারেই ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন নাজমুল হক ফয়সাল৷ তিনি সরকারি সংস্থা ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড' বা ইডকল-এর ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক৷ সংস্থাটি সারা বাংলাদেশে বায়োগ্যাসের প্রসারে কাজ করছে৷
ফয়সাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের কারণে দুর্গন্ধ তো ছড়িয়ে পড়েই না, বরং উল্টো এর ফলে গন্ধ ছড়িয়ে পড়াটা রোধ হয়৷ কেননা বায়োগ্যাস প্ল্যান্টে ব্যবহার করা না হলে গরুর গোবর বা হাঁস-মুরগির বিষ্ঠাগুলো এদিক-ওদিক পড়ে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতো৷
বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের আরেকটা সুবিধা হলো গ্যাস তৈরির পর যে অবশিষ্ট অংশ থাকে সেটা উন্নতমানের জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যায়৷ এছাড়া যারা পুকুরে মাছ চাষ করেন তারা মাছের খাবার হিসেবেও ঐ অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করতে পারেন৷
কীভাবে প্ল্যান্ট বসাবেন
ইডকল কর্মকর্তা ফয়সাল বলছেন, তারা কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ করে থাকেন৷ ইডকল-এর ওয়েবসাইটে সংস্থাগুলোর নাম দেয়া আছে৷ আগ্রহীরা সেখান থেকে তার এলাকায় কোন সংস্থাটি কাজ করছে তা জেনে নিতে পারেন৷ এরপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে৷
প্ল্যান্ট তৈরি করে দেয়া থেকে শুরু করে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া, প্ল্যান্ট তৈরির পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গ্যারান্টি সেবা দেয়া – সব কাজই করে থাকে ইডকল৷
এভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে ইডকল, জানালেন ফয়সাল৷ জার্মান উন্নয়ন ব্যাংক ‘কেএফডাব্লিউ' ইডকলের এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি৷