বিদ্যুৎ উৎপাদন
৩ জানুয়ারি ২০১৩মশিউর রহমান মূলত তাঁর পোল্ট্রি খামারকে রক্ষা করতে গিয়েই হাঁস-মুরগির বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা করেন৷ কারণ, পোল্ট্রি খামারের জন্য ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন৷ তাঁর সেই চিন্তা সফলতার মুখ দেখেছে৷ তিনি গাজীপুরে তাঁর নিজের পোল্ট্রি খামারে হাঁস-মুরগির বর্জ্যকে প্রথমে বায়োগ্যাস এবং তারপর তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন৷ তাঁর খামারে এখন আর বাইরের বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না৷
মশিউর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না৷ বরং এটি পুরোপুরি পরিবেশ বান্ধব৷
তাঁর মতে বাংলাদেশে এখন যতগুলো পোল্ট্রি খামার রয়েছে, তা থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব৷ আর তা করা হলে, পোল্ট্রি খমারগুলোকে বাইরে থেকে আর বিদ্যুৎ নিতে হবেনা৷ সরকার চাইলে এই বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে দিতে পারে৷
মশিউর রহমান জানান, সরকারের উচিত পোল্ট্রি খামারগুলোকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহিত করা৷ এছাড়া, বায়োগ্যাস জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব৷ আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও বর্জ্য হিসেবে পাওয়া যায় জৈব সার৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ