1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাইডেনের ভারত সফর

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৩ জুলাই ২০১৩

মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভারত সফরে দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাশা পূরণ হবে কিনা – তা নিয়ে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক মহলে চলেছে জল্পনা৷ মূল বিষয়গুলো হলো: অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা, জ্বালানি, জলবায়ু ও প্রতিরক্ষা ৷

https://p.dw.com/p/19By3
ছবি: picture-alliance/dpa

ভারত-মার্কিন ‘স্ট্র্যাটিজিক’ সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে পারস্পরিক আস্থার ওপর৷ সেই আস্থার জমিটা আরো গতিশীল করতে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনা করবেন ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে৷ পাশাপাশি তিনি চেষ্টা করবেন আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের জমি তৈরি করতে৷

যে চারটি প্রধান বিষয় আলাপ-আলোচনায় উঠে আসবে, তার শীর্ষে আছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা৷ এক্ষেত্রে পাখির চোখ হবে ভারতের বিনিয়োগ নীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিসর বাড়ানো এবং মার্কিন মেধাস্বত্বের উপযুক্ত সুরক্ষা৷ থাকবে দু'দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানের ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে কিভাবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া যায় – সে প্রসঙ্গও৷

ভারতের তরফে উঠতে পারে ওবামা প্রশাসনের অভিবাসন সংস্কার নীতি৷ বিলটি বর্তমানে সেনেটের বিবেচনাধীন৷ এই বিল পাস হলে ভারতীয় অভিবাসী কর্মীদের সমস্যার আশঙ্কা দূর করে বাইডেন দিল্লিকে আশ্বস্ত করতে পারবেন এই বলে যে, এতে সমস্যা হবে না, বরং ভারতীয় কর্মীরা উপকৃত হবে বেশি৷ বিল পাস হলে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা তিনগুণ বাড়বে দক্ষ কর্মীদের ক্ষেত্রে৷ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরাও অ্যামেরিকায় অস্থায়ীভাবে কাজ করতে পারবেন৷ উল্লেখ্য, বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে মার্কিন ভিসা দেবার জন্য বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং অনুরোধ করতে পারেন বাইডেনকে৷

Manmohan Singh
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: AFP/Getty Images

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতার বুনিয়াদ দৃঢ় হয়েছে গত কয়েক বছরে৷ উভয়পক্ষ চাইবে সেটাকে দৃঢ়তর করতে৷ প্রতিশ্রুতি মতো মার্কিন প্রতিরক্ষা টেকনোলজির হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং উচ্চ-প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার কথা বলতে পারে ভারত৷ জ্বালানি নিরাপত্তার প্রসঙ্গে উঠবে বে-সামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির দায়বদ্ধতা বিধি সংক্রান্ত প্রশ্ন৷ এই অন্তরায় তাড়াতাড়ি দূর করতে দিল্লিকে চাপ দেবে ওয়াশিংটন, যাতে পরমাণু উপকরণ নির্মাতা মার্কিন কোম্পানিগুলির বিনিয়োগের পথ সুগম হয়৷

দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার বৃত্তে আছে আফগানিস্তান, সমুদ্রসীমা নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস মোকাবিলা৷ এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখা হবে৷ বলা বাহুল্য, আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারতেকে এক গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার মনে করে ওয়াশিংটন৷ মনে করে আফগান ইস্যুতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ উভয় দেশ চায়, সুরক্ষিত আফগানিস্তান এবং সহনশীল পাকিস্তান৷

হালে আফগান শান্তি আলোচনার ফলাফল কী দাঁড়ালো, সে বিষয়ে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিল্লিকে অবহিত করবেন, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল আফগানিস্তান কাম্য – ভারতের এই আফগান নীতির সঙ্গে ওবামা প্রশাসন সম্পূর্ণ একমত৷ সেই লক্ষ্যে আফগান শান্তি আলোচনার শর্ত হলো, তালেবান সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে আল-কায়েদার সঙ্গে, হিংসা বর্জন করবে এবং আফগানিস্তানের সংবিধান মেনে চলবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য