‘বাংলাদেশের উদ্বেগ উপেক্ষা করা ঠিক হবে না’
৭ অক্টোবর ২০১৯‘বেস্ট ফ্রেন্ডস ফর নাও: অন নিউ দিল্লি-ঢাকা টাইজ' শীর্ষক এই সম্পাদকীয়তে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে এখনও কোনো অগ্রগতি না হওয়াকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখানো হয়েছে৷ এজন্য পশ্চিমবঙ্গ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে উত্তেজনাকে দায়ী করা হয়েছে৷ নাগরিকপঞ্জি সম্পর্কে দ্য হিন্দু লিখেছে, নতুন দিল্লি ও নিউইয়র্কে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সে বিষয়টিও ভারতীয় সরকারের উপেক্ষা করা একেবারেই ঠিক হবে না৷
এদিকে কলকাতার প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা তাঁদের নতুন ইনিংসে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেন৷
‘সাত চুক্তি সই করল ঢাকা-দিল্লি' শিরোনামের খবরে পত্রিকাটি কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে লিখেছে, ভারত গত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে একটি মাত্র প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রেখেছে, সেটা বাংলাদেশ৷
স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিতে চাইছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা৷ গুরুত্বের দিক দিয়ে এরপরেই আছে ফেনি নদীর চুক্তি৷ এর ফলে ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার মানুষ আর্সেনিক-দুষ্ট পানীয় জলের পরিবর্তে বাংলাদেশের ফেনি নদীর জল পান করতে পারবেন বলে পত্রিকা বলছে৷
এদিকে, ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া' রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি শিরোনাম করেছে৷ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হকের একটি মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে৷ তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে ‘বেস্ট অফ রিলেশন্স' বলেছেন৷
একই পত্রিকা আরেক প্রতিবেদনে আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরেছে৷ দুই দেশের আলোচনার সময় এই বিষয়টি এক টুকরো বিব্রতকর পরিস্থিতি নিয়ে আসে বলে পত্রিকাটি জানাচ্ছে৷ তবে বিষয়টি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ' ব্যাপার বলে নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানাচ্ছে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'৷
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' পত্রিকার বাংলা সংস্করণে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ এই সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানান বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে৷ সোনিয়া গান্ধী হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলেও জানাচ্ছে পত্রিকাটি৷
জেডএইচ/কেএম