মার্কিন নির্বাচন ও বাংলাদেশ
৬ নভেম্বর ২০১২এ বছরই বাংলাদেশ সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্লেক এবং ওয়েন্ডি শারমেনের মতো পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক মার্কিন কর্মকর্তারা৷ তাঁদের এ সফর প্রমাণ করে যে ওয়াশিংটনের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার বদলালেও মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বদলায় না৷ তবুও ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামার বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা নীতিতে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে৷ সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির তাই মনে করেন, ওবামা আরেক দফা হোয়াইট হাউসে থাকলে বাংলাদেশের জন্য তা ইতিবাচকই হবে৷
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শাহিদুজ্জামান একই ধরনের মন্তব্য করলেও তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ কিভাবে তার অবস্থান শক্ত করতে পারে তা বাংলাদেশের ওপরই নির্ভর করে৷
বাংলাদেশ এখনো মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়নি৷ ঝুলে আছে টিকফা চুক্তি৷ তারপরও ওবামার অভিবাসন আইন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ৷
তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা আছে৷ ডেমেক্র্যাট বারাক ওবামা অথবা রিপাবালিকান মিট রমনি – যে-ই ক্ষমতায় আসুন না কেন এই শীতলতা নিরসনে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷