বাংলাদেশে হামলার উসকানি, যুক্তরাজ্যে একজনের কারাদণ্ড

গত শুক্রবার লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন কোর্ট এ দণ্ডাদেশ দেন৷ সাজাপ্রাপ্ত মুন্না হামজাকে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের সদস্যরা৷

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷ এতে আরো জানানো হয়, মুন্না হামজার কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে আরো এক বছর নজরদারির আওতায় থাকতে হবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন৷

সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার তিন অভিযোগে শুক্রবার উলউইচ ক্রাউন কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেয় বলে পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামজার পোস্ট সম্পর্কে ব্রিটেনের এক নাগরিক পুলিশকে জানালে দ্রুত গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেয়া হয়৷

পুলিশকে তথ্য দেয়া ওই ব্যক্তির প্রশংসা করে কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান কমান্ডার রিচার্ড স্মিথ বলেন, ‘‘এর ফলে সহিংসতা ও সন্ত্রাস উসকে দেওয়ার মতো আর কোনো কিছু প্রকাশ করা থেকে তাকে আমরা বিরত রাখতে পেরেছি৷ তা না হলে ভয়াবহ কিছু ঘটে যাওয়ার শঙ্কা ছিল৷’’

২০১৮ সালের ১৭ মে হামজার আগের দিনের একাধিক পোস্ট নিয়ে সতর্ক করেন এক ব্যক্তি৷ কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তারা তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি উদ্বেগজনক পোস্ট খুঁজে পান৷ সেসব পোস্টে হামজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটনে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷

৪ জুলাই দক্ষিণ লন্ডনের কর্মস্থল থেকে হামজাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তার কম্পিউটার, ফোন ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়৷ ওই সব পোস্ট প্রকাশের দায় স্বীকার করলে তাকে তখন জামিন দেয়া হয়৷

তার ওইসব পোস্ট পর্যালোচনা করে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের  প্রমাণ পেলে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ‘টেররিজম অ্যাক্ট’ এর ১ (২) ধারায় সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ জোগানোর চার ধরনের ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়৷

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি তিনটি ঘটনায় হামজার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়৷

এপিবি/এসিবি (তথ্যসূত্র: লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট)