1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দারিদ্র্যের হার

১৪ অক্টোবর ২০১২

বাংলাদেশে শতকরা হিসেবে দারিদ্র্য কমলেও বাস্তব চিত্র আলাদা৷ কারণ দ্রব্যমূল্য আর মূদ্রাস্ফীতি গরিব মানুষের বাড়তি আয় খেয়ে ফেলছে৷ আর গ্রামে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের কাজ মৌসুমি৷ দেশের শতকরা ৫০ ভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে৷

https://p.dw.com/p/16Pci
A Bangladeshi child laborer works at a balloon factory in Dhaka, Bangladesh, Sunday, June 12, 2011. According to the International Labor Organization which observes June 12 as World Day Against Child Labor, 115 million children worldwide are working in hazardous jobs with the brunt of the hardship being felt by teenage boys. (Foto: Pavel Rahman/AP/dapd)
ছবি: AP

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের চাতাল শ্রমিকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন৷ কিন্তু তাদের কারুরই প্রতিদিনের মজুরী ১০০ টাকার বেশি নয়৷ কেউ কেউ অবশ্য আরো বেশি আয় করেন৷ তবে তাদের সারা বছর কাজ থাকে না৷ কাজ করতে হয় দিনে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা৷ আর নারী-পুরুষের মজুরীর বৈষম্য তো আছেই৷

শ্রমজীবী মানুষ তাদের এই আয় দিয়ে বর্তমান বাজার দরে কোনভাবেই তাদের পরিবারের খাদ্যসহ অন্যান্য চাহিদা মেটাতে পারেন না৷ ফলে শিকার হচ্ছেন অপুষ্টির৷ অন্যদিকে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গিয়ে তারা ঋণের ফাঁদে পড়ছেন৷

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে দারিদ্র্য গত ৫ বছরে শতকরা ৮.৫ ভাগ কমেছে৷ আগে যেখানে ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতেন এখন সেই সংখ্যা কমে শতকরা ৩১.৫ ভাগ হয়েছে৷ কিন্তু শতকরা হারের এই উন্নয়নের হিসেবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলে মনে করেন বিআইডিএস-এর গবেষক অর্থনীতিবিদ ড. জুলফিকার আলী৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, দারিদ্র্য কমার এই তথ্য দেশের সব অঞ্চলের জন্য সত্য নয়, কোথাও কোথাও দারিদ্র্য বরং বেড়েছে ৷

Bild: Korrespondent in Dhaka, Herr Harun Ur Rashid Swapan hat die angehängten Bilder am 22.04.12 aufgenommen, und stellt sie der DW zur Verfügung. Titel: Agriculture in Bangladesh Bildbeschreibung: Destroyed bean crop at a coastal area at Sonakhali in the Mathbaria Upzila, District Perozpore, Bangladesh zugeliefert von Sanjiv Burman
শ্রমজীবী মানুষ তাদের আয় দিয়ে বর্তমান বাজার দরে কোনভাবেই পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারেন নাছবি: DW

জনপ্রতি ক্যালরি গ্রহণের হিসাবে দারিদ্র্যের মাত্রা হিসাব করলেই আসল চিত্র বোঝা যাবে৷ যারা ২,১২২ ক্যালরির নিচে খাদ্য গ্রহণ করেন তারা দরিদ্র৷ আর যারা ১,৮০৫ ক্যালরির নিচে খাদ্য গ্রহণ করেন তারা চরম দরিদ্র৷ ড. জুলফিকার আলী বলেন ক্যালরি গ্রহণের হিসাবে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ ভাগ মানুষই দরিদ্র৷ এই কারণেই ৫০ ভাগের মত শিশু এখনো অপুষ্টির শিকার৷

তিনি জানান, দারিদ্র্য কমাতে হলে সারা বছর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ আর একেক অঞ্চলের জন্য করতে হবে আলাদা পরিকল্পনা৷ আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর জন্য৷ দরিদ্র মানুষের জন্য থাকতে হবে কম দামে খাদ্য এবং পুষ্টি কর্মসূচি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য