বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের ছবি নিয়ে টুইটারে আলোড়ন
২৭ মার্চ ২০১৯পোর্ট্রেটটি ২১ মার্চ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন আলোকচিত্রী আবেদিন মুং৷ এরপর সেটি শুধু সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই পঁচিশ হাজারবারের বেশি রিটুইট হয়েছে৷ এছাড়া সত্তর হাজারের বেশি মানুষ সেটি লাইকও করেছেন৷ শুধু তাই নয়, ছবিটি অনেকে ডাউনলোড করে নিজের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটেও পোস্ট করেছেন৷ সেগুলোও অনেক মানুষের নজর কেড়েছে৷
ছবিটি প্রসঙ্গে আবেদিন মং বলেন, ‘‘আমি প্রথম যখন তাঁকে দেখেছিলাম তখন একটা ‘ভ্লগ' শুট করছিলাম৷ ফলে তখন তাঁর ছবি তোলার সুযোগ হয়নি৷ কিন্তু আজকে আবার তাঁকে একইস্থানে দেখি৷''
তিনি বলেন, ‘‘তখন আমি দ্রুত অন্য ফোনের বদলে পিক্সেল ২ এক্সএল ফোনটি বের করি, কেননা আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ফোনে তখন আমি চ্যাট করছিলাম৷''
মং নাকি শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন যে ছবিটা সুন্দর হবে৷ কেননা বাংলাদেশি তরুণ যেখানে ছিলেন সেখানকার লাইটিং ভালো ছিল৷ পাশাপাশি তাঁর পোশাকও ছিল ছবি তোলার জন্য আদর্শ৷ মোটের উপর তাঁর রূপালি চোখ ছিল বিশেষভাবে আকর্ষণীয়৷
টুইটারে ছবিটি প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই সেটির প্রশংসা করেছেন৷ কেউ কেউ ছবিটিকে ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের কভারে প্রকাশিত এক আফগান কিশোরীর ছবির সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি তুলেছিলেন সাংবাদিক স্টিভ ম্যাকক্যারি৷
বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্প বিষয়ক সংগঠন বেসিস এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির লিখেছেন, ‘‘আমাদের ফ্যাশন হাউসগুলোর উচিত এই ছেলেটাকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ব়্যাম্পে তোলা!''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি এই তরুণের ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় যে ফোন দিয়ে ছবিটি তোলা হয়েছে সেটির পরোক্ষ বিজ্ঞাপনও হচ্ছে৷ আলোকচিত্রী আবেদিন মুং ছবিটির ক্যাপশনে এবং পরবর্তীতে দেয়া বক্তব্যে ফোনটির কথা বারংবার উল্লেখ করেছেন৷ তিনি সেটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এজন্য কোনো সুযোগসুবিধা নিয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানাননি৷
বুধবার এক টুইটে ছবির তরুণের নাম ইরফান মালিক বলে জানিয়েছেন তিনি৷ পোর্ট্রেটটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই নাকি মালিকের ছবি তুলতে ভিড় করছেন৷