পিরামিডে নগ্ন ফটোশুট!
১২ ডিসেম্বর ২০১৮এত কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কী করে এই ভিডিশুট সম্ভব হলো তা নিয়েই চলছে জোর হট্টগোল৷ তবে মিসরীয় প্রশাসন এই ভিডিওকে বাস্তব কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কায়রো শহরকে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে রেখে গিজা শহরের ওই পিরামিডে যে ভিডিওশুট করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে৷
ভিডিওতে দেখা যায়, ফটোগ্রাফার হভিড ও তাঁর সঙ্গী ওই নারী পিরামিড বেয়ে উঠছেন৷ কুফু পিরামিডে উঠে গায়ের পোশাক খুলে ফেলেন৷
ড্যানিশ ট্যাবলয়েড এক্সট্রা ব্ল্যডেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফটোগ্রাফার আন্দ্রেয়া হভিড বলেন, ‘‘আমার বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এই শুটের মাধ্যমে৷ আমি সবসময় স্বপ্ন দেখে এসেছি পিরামিড বেয়ে ওঠার৷ সেটি সত্য হলো৷'' এই ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘‘কয়েকজন মিসরীয় এতে বিব্রত হলেও আমি প্রচুর প্রশংসাও পেয়েছি৷'' তবে ভিডিও প্রকাশের আগেই হভিড মিসর ছেড়েছেন আর কখনো সেখানে যাবার ইচ্ছা নেই তাঁর৷
গিজার প্রশাসন প্রধান আশরাফ মহী দৈনিক আল আহরামকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘‘শোনা যাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীকে ঘুষ দিয়ে এই আয়োজন করেছে হভিড৷ নতুবা ১৮ কিলোমিটারের নিরাপত্তা বেষ্টনির ভেতরে এ ধরনের কাজ করা সম্ভবপর নয়৷''
অন্যদিকে মিসরীয় পুলিশ জানিয়েছে, প্রকাশ্য নগ্নতা মিসরে নিষিদ্ধ, পিরামিডে এই ধরনের কাজ রীতিমতো অবৈধ৷ এটির তদন্ত চলছে৷ ঘটনাটি আদৌ তাঁরা ঘটিয়েছেন, নাকি পুরো বিষয়টি এক ধরনের ‘স্টান্ট' সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
তবে মিসরের জনগণ এই ঘটনাকে অবৈধ ও পিরামিডের মাহাত্মের প্রতি অসম্মানজনক হিসেবে দেখছেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তোলপাড় আলোচনা৷
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই গিজাতেই নগ্নশুট করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন বেলজিয়ামের মডেল মেরিসা৷ তিনি গিজার পিরামিড ও মিশরীয় প্রাচীন মন্দিরের সামনে ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন৷নগ্ন ফটোশুটের জন্য স্থানীয় এক গাইডকে মোটা অঙ্কের ঘুষও দিতে হয়৷ সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল৷ হঠাৎই মেরিসার ফটোশ্যুট দেখে ফেলেন চারজন নিরাপত্তারক্ষী৷ ঘটনাস্থলেই মেরিসা ও ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করেন তাঁরা৷ ওই অবস্থাতেই দু'জনকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়৷ মেরিসা বলেন, ‘'প্রায় দু' বছর ধরে ঘুরেছি ৫০টি দেশে৷ কখনো এরকম হেনস্থা হতে হয়নি, মিসরে যা হলো৷''
এলিজাভেথ শুমাখার/এফএ