ফ্রান্সে আবার বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩
১২ ডিসেম্বর ২০১৮স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীর এ হামলায় অন্তত ১১ জন আহতও হয়েছেন৷ আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
পুলিশে বিশেষ বাহিনীর অন্তত ৩৫০ সদস্যকে ঘটনাস্থলের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুলিশ বলছে, পালটা গুলিতে হামলাকারীও আহত হলেও তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ তবে সন্দেহভাজন অনেক আগে থেকেই ফরাসি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিলেন বলে জানা গেছে৷
এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা৷ ফ্রান্সে এ বছর এ ধরনের তৃতীয় হামলার ঘটনা এটি৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টানেয়ার জানিয়েছেন, ফ্রান্সে নিরাপত্তা হুমকি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রিসমাস মার্কেট ও সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷
হামলার পরপরই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ তাঁর মন্ত্রী এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন৷ বৈঠক শেষে এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘স্ট্রাসবুর্গে হতাহত এবং তাঁদের পরিবারের সাথে সাথে সহমর্মী পুরো জাতি৷''
হামলার পরপরই যখন পুলিশের অভিযান শুরু হয়, সিটি সেন্টার এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টসহ আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়৷ পার্লামেন্ট ভবনে তখন ইউরোপের কয়েকশ' এমপি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন৷
মধ্যরাতের পর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট আন্টোনিও তাইয়ানি জানান, এমপিরা সিটি সেন্টার এড়িয়ে যাওয়ার শর্তে পার্লামেন্ট ভবন থেকে বেরিয়েছেন৷ তবে সিটি সেন্টারে যেতে চাইলে তাঁদের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে৷
এদিকে, হামলার ঘটনার পরপরই স্ট্রাসবুর্গের প্রতিবেশী জার্মান রাজ্য বাডেন-ভ্যুর্টেমবার্গ পুলিশ সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে৷ ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর ফ্রান্স এবং জার্মানি দুই দেশেই অপরাধে জড়িয়ে কারাবাসের রেকর্ড রয়েছে৷
পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় স্ট্রাসবুর্গের ক্রিসমাস মার্কেটে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে৷ শহরের মেয়র রোলান্ড রিস জানিয়েছেন, বুধবার মার্কেট বন্ধ থাকবে৷
সম্প্রতি বেশকিছু সন্ত্রাসী হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে ফ্রান্স৷ ২০১৫ সালের পর থেকে বিভিন্ন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ৷ এসব হামলা তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট' প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত৷
এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফডি, ডিপিএ)