ফুটবল কিংবদন্তি ইউসেবিও ৭০ বছরেও সমান জনপ্রিয়
২৫ জানুয়ারি ২০১২১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন ইউসেবিও৷ হয়েছিলেন টপ স্কোরার৷ শারীরিক শক্তি, ক্ষিপ্রতা এবং নিখুঁত শট – ইউসেবিও ছিলেন এই তিনের সমাহার৷ ইউসেবিওকে বলা হত ‘দ্য ব্ল্যাক প্যান্থার'৷
১৯৪২ সালের ২৫শে জানুয়ারি মোজাম্বিকের রাজধানি মাপুটোয় জন্মগ্রহণ করেন ইউসেবিও৷ ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুটবল খেলতেন৷ তার প্রতিভা চোখে পড়ে বেনিফিকা লিসবন ফউটবল ক্লাবের একজন ট্যালেন্ট স্কাউটের৷ ইউসেবিও তখন টিন-এজার৷ তিনি খেলছিলেন স্পোর্টিং লরেনকোর পক্ষ হয়ে৷ তখন তাকে গোপনে লিসবনে নিয়ে আসা হয়৷ সেটা ১৯৬০ সাল৷ এরপর আর পেছন ফিরে দেখা নয়৷ অসাধারণ ক্ষিপ্র গতিতে শুধুই এগিয়ে যাওয়া৷
বেনিফিকার পক্ষ হয়ে ৩৩৮টি গোল করেছিলেন ইউসেবিও৷ ১৯৬২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স কাপ ফাইনালে বেনিফিকো রেয়াল মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারায়৷ জিতে নেয় কাপ৷ ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান দখল করে পর্তুগাল৷ আর তা সম্ভব হয়েছিল ইউসেবিও-র কল্যাণে৷
ইউসেবিও-র প্রতি সম্মান দেখাতে দো লুজ স্টেডিয়ামের বাইরে ইউসেবিও-র একটি ব্রোঞ্জ মুর্তি স্থাপন করা হয়৷
প্রশ্ন উঠতে পারে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কী কখনো ইউসেবিও-র মত একজন হয়ে উঠতে পারেন? পর্তুগালের ক্রীড়া সাংবাদিক পেদ্রো ভাস্কো জানান , না তা কিছুতেই সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো হয়তো এবারের ইউরো কাপে চমক দেখানোর চেষ্টা করবেন কিন্তু তা কখনোই ইউসেবিও-র সমতুল্য হবে না৷ তিনি আরো জানান, ফিগো এবং রোনাল্ডোকে যদি একসঙ্গে মেলানো হয় তাহলে হয়ত বেরিয়ে আসবে আরেকটি ইউসেবিও৷
৭০ তম জন্মদিনে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিরিবিলিতে সময় কাটছে ইউসেবিও'র৷ কোন হৈ চৈ নয় শান্তভাবে এই দিনটি পার করতে চেয়েছেন ইউসেবিও দা সিলভা ফেরেইরা৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক