মধ্যপ্রাচ্য সংকট
১৬ জুলাই ২০১৪মিশর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়ার পর সাময়িকভাবে হলেও গাজায় হামলা বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েল৷ কিন্তু হামাস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর মঙ্গলবার রাত থেকে আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হামাসের ঘাঁটি এবং হামাস নেতাদের বাসা লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছেন৷ তবে বার্তাসংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী প্রতিদিনই আসছে নিরীহ সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানির খবর৷ ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরফ আল-কেদরা বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে জানান, সপ্তাহাধিক কাল ধরে চলমান এ হামলায় এ পর্যন্ত ২০৩ জন মারা গেছে৷ নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সাধারণ মানুষ বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিভাগের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১,৫২০ জন আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে৷
মঙ্গলবার রাত থেকে দশ মিনিট পর পর বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী৷ এতে এক রাতেই মারা গেছে ১০ জন৷ হামাসও বিভিন্ন স্থান থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে ১৪২টি রকেট ছুড়েছে৷ তবে তাতে ক্ষয়ক্ষতি কতটুকু হয়েছে তা জানা যায়নি৷
গাজায় সাধারণ মানুষ যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘর ছাড়ছেন৷ নিরুপায় হয়ে যাঁরা এখনো বাসস্থানে ছিলেন তাঁদেরও গাজা ছেড়ে যেতে বলেছে ইসরায়েল৷ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, হামাসের ওপর তাদের হামলা চলবে, সুতরাং প্রাণ বাঁচানোর জন্য সাধারণ জনগণের গাজার পূর্বাঞ্চল ছেড়ে যাওয়াই শ্রেয়৷
এদিকে বেনইয়ামিন নেতানিয়ানহুও বলেছেন, গাজার ওপর হামলা আরো তীব্রতর হবে৷ মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে৷ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এখনো হাল ছাড়েননি৷ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে বুধবারই তাঁর মিশরের রাজধানী কায়রোয় যাওয়ার কথা৷
এসিবি/এসবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)