যুদ্ধ বন্ধের দাবি
১৫ জুলাই ২০১৪ডয়চে ভেলে বাংলার এ সংক্রান্ত খবরে আজ অনেকেই মন্তব্য করেছেন৷ সবার মন্তব্যেই ছিল ইসরায়েলের এ হামলা বন্ধের দাবি৷ মিশর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও হামাস তা মানেনি- সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় ডয়চে ভেলে বাংলার ফেসবুক পাতায় কাজী মোশাররফ হোসেন লিখেছেন, ‘‘হামাস মানবে কেন? ওরা মানলে তো ওদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়! আরো কিছু বেশি লোক মরলে তাদের ছবি দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিক্ষা করতে পারবে!'' মোহাম্মদ আনোয়ার লিখেছেন, ‘‘গাজায় হত্যা বন্ধ কর৷''
কাজী আরিফুল হাসান মনে করেন হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব না মানার কারণ আছে৷ তাঁর মতে, ‘‘চলমান গাজা যুদ্ধে হামাস যেসব দাবি জানিয়েছে, তার কোনোটিই ইসরায়েলকে মেনে নিতে বলা হয়নি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে৷ দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, গাজা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হামাস নেতাদের মুক্তি, গাজায় কর্মরত হামাস সরকারের ৪০ হাজার নেতার বেতনাদি পরিশোধের জন্য অর্থ প্রবেশের অনুমতি, রাফা বর্ডার ক্রসিং খুলে দেয়া ও গাজা থেকে ইসরায়েলের কয়েক বছরব্যাপী অবরোধ তুলে নেয়া৷এসব দাবি না মানা হলে যুদ্ধবিরতি শেষ হলেও হামাসের শাসনাধীন গাজায় জনজীবনে স্বস্তি ফেরার মতো কিছুই ঘটবে না৷ ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হলেও বেঁচে থাকা মানুষদের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার সুযোগ তৈরি হবে না৷'' সুমন মির্জা মানুষ হত্যা জারি রাখার পেছনে কোনো যুক্তি মানতে নারাজ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এ যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে৷''
এদিকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছে৷
ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেল চারটায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আয়োজকরা৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক